নয়া দিল্লি : ডাক্তারি পড়তে ঢাকায় গিয়েছিলেন ভারতীয় নাগরিক শোয়েব লোন। সেখানে পাঁচ বছরের পড়াশোনা শেষ করে বাড়ি ফিরে আসার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তার আগেই দুর্ঘটনায় জখম হলেন এমবিবিএস অন্তিম বর্ষের ছাত্র। বর্তমানে তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই দুর্ঘটনার পর কোমায় চলে গিয়েছেন তিনি। শোয়েবকে এই অবস্থায় দেশে ফিরিয়ে আনতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল ভারত সরকার। প্রধানমন্ত্রীর তদারকিতে কোমায় থাকা শোয়েবকে ঢাকা থেকে বিমানে করে দিল্লিতে নিয়ে আসা হয়েছে। এবং বর্তমানে তাঁকে দিল্লি এইমসে ভর্তি করা হয়েছে। এর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন শোয়েবের বাবা।
জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরি জেলার বাসিন্দা শোয়েব লোন। ঢাকার বারিন্দ মেডিক্যাল কলেজের অন্তিম বর্ষের এমবিবিএস ছাত্র তিনি। ৩ জুন শোয়েব ও তাঁর কলেজের আরও দুই বন্ধু দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। এই ঘটনায় একজন মারা গিয়েছেন। বাকি দু’জন গুরুতর আহত হয়। তারপর ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন শোয়েব। রাজৌরিতে সফরের সময় জম্মু ও কাশ্মীরের বিজেপি সভাপতি রবীন্দর রায়না আহত ছাত্রের বাবা মহম্মদ আসকাম লোনের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি সংবাদ সংস্থা পিটিআই কে জানিয়েছেন, ‘আমি তাঁর বাবার মুখ থেকে এই ঘটনার সম্বন্ধে জানার সঙ্গে সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে সাহায্য় চাই। ও এখন কোমায় রয়েছে। ওর বাবা-মা সাহায্য চান।’
রবীন্দর রায়না জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে এই সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য জানতে চাওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশে ভারতের দূতকে ফোন করেন। এবং এই ছাত্রের পরিবারকে সমস্ত ধরনের সাহায্য় করার জন্য তিনি নিজে বলেন। প্রধানমন্ত্রীর ফোন পাওয়ার পর তিনি নিজে ঢাকার হাসপাতালে শোয়েবের সঙ্গে দেখা করতে যান। অবশেষে সেই ছাত্রকে এয়্যার অ্যাম্বুলেন্সে করে আজ দুপুর ২ টো নাগাদ ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে নিয়ে আসা হয়। এর জন্য নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন শোয়েবের বাবা। এবং তিনি মোদীকে স্য়ালুট ঠুকে জানিয়েছেন, যে দেশের নরেন্দ্র মোদীর মতো প্রধানমন্ত্রী রয়েছে তাদের চিন্তা করার দরকার নেই।