নয়া দিল্লি: পথ-কুকুরদের খাওয়ানো নিষিদ্ধ করেছিল বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর শাখা। বুধবার (১৬ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, এই রায় বলবৎ করতে গিয়ে কোনো জবরদস্তি করা চলবে না। হাইকোর্ট আরও বলেছিল যারা, পথকুকুরদের খাওয়াতে চান, তাদের ওই কুকুরগুলিকে বাড়িতে নিয়ে যেতে হবে। হাইকোর্টের এই রায়ের উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করল বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি জেকে মহেশ্বরীর বেঞ্চ। বিচারপতি খান্না বলেন, “পথকুকুরদের খাওয়ায় যারা, তাদের কুকুরগুলিকে দত্তক নেওয়ার জন্য জোর করা যায় না।” বেশ কয়েকটি কুকুরপ্রেমী সংগঠনের পক্ষ থেকে বম্বে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই এই অন্তর্বর্তী আদেশ দিল শীর্ষ আদালত।
এর আগে রায় ঘোষণার সময় বম্বে হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণ করেছিল, “যদি এই তথাকথিত পথকুকুরদের বন্ধুরা সত্যি সত্যি পথকুকুরদের সুরক্ষা এবং কল্যাণে আগ্রহী হয়, তাদের অবশ্যই ওই কুকুরদের দত্তক নিতে হবে। কুকুরগুলিকে নিজেদের বাড়িতে নিয়ে যেতে হবে কিংবা অন্ততপক্ষে তাদের কোনও ভাল মানের ডগ শেল্টার হোমে রাখতে হবে। পুর কর্তৃপক্ষের কাছে কুকুরগুলির নথিভুক্তকরণ, রক্ষণাবেক্ষণ, স্বাস্থ্য ও টিকাকরণের সব খরচ তাদেরই বহন করতে হবে।”
এদিন এই পর্যবেক্ষণের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। বম্বে হাইকোর্টের রায় আদৌ বাস্তবসম্মত কি না, সেই প্রশ্নও তুলে দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে, নাগপুর পুর নিগমকে পথকুকুরদের শহরের নির্দিষ্ট কোনও জায়গায় খাওয়ানোর জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। যতদিন না পর্যন্ত সেই জায়গা চিহ্নিত করা যাচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত পথকুকুরদের উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারবে পুর নিগম।
পথকুকুরদের খাওয়ায় যারা, তারাও যাতে কোনও রকম ঝামেলা সৃষ্টি না করে, তা নিশ্চিত করার দায়িত্বল দেওয়া হয়েছে পুর নিগমকে। তবে জোর জবরদস্তি করা যাবে না। এই অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের বিষয়ে পশু কল্যাণ বোর্ড এবং নাগপুর পুর নিগমকে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।