নয়াদিল্লি: পশ্চিমবঙ্গ সহ ১৪টি রাজ্যের জন্য মোট ৭ হাজার ১৮৩ কোটি টাকা অনুদান দিল কেন্দ্র। অর্থমন্ত্রক (Finance Ministry) থেকে পোস্ট ডিভোলিউশন রেভিনিউ ডিফিসিটের (উন্নয়ন পরবর্তী রাজস্ব ঘাটতি) অষ্টম কিস্তি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেই তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও রয়েছে অন্ধ্র প্রদেশ, অসম, কেরল, মেঘালয়, মিজোরাম, পঞ্জাব, রাজস্থান, সিকিম, উত্তরাখণ্ডের মতো রাজ্যগুলি। অষ্টম ধাপে রাজ্যগুলিকে যে পরিমাণ টাকা দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে সবথেকে বেশি টাকা পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গই। বাংলার জন্য ১ হাজার ১৩২ কোটি টাকারও বেশি আর্থিক ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে বাংলার জন্য পোস্ট ডিভোলিউশন রেভিনিউ ডিফিসিটের আওতায় দেওয়া হয়েছে ৯ হাজার ৫৮ কোটি টাকা।
পশ্চিমবঙ্গ পেয়েছে ১ হাজার ১৩২ কোটি টাকা
অন্ধ্রপ্রদেশ পেয়েছে ৮৭৯ কোটি টাকা
অসম পেয়েছে ৪০৭ কোটি টাকা
মণিপুর পেয়েছে ১৯২ কোটি টাকা
কেরল পেয়েছে ১ হাজার ৯৭ কোটি টাকা
মেঘালয় পেয়েছে ৮৬ কোটি টাকা
মিজোরাম পেয়েছে ১৩৪ কোটি টাকা
নাগাল্যান্ড পেয়েছে ৩৭৭ কোটি টাকা
পঞ্জাব পেয়েছে ৬৮৯ কোটি টাকা
রাজস্থান পেয়েছে ৪০৫ কোটি টাকা
সিকিম পেয়েছে ৩৬ কোটি টাকা
ত্রিপুরা পেয়েছে ৩৬৮ কোটি টাকা
উত্তরাখণ্ড পেয়েছে ৫৯৪ কোটি টাকা
১৫ তম অর্থ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী এই অনুদান দিচ্ছে অর্থমন্ত্রক। মূলত, উন্নয়নমূলক কাজের পর রাজ্যগুলির রাজস্ব যে ঘাটতি তৈরি হয় তার ব্যবধান মেটানোর জন্যই প্রতি মাসে আর্থিক অনুদানের দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কমিশনের সুপারিশ ছিল, ২০২২-২৩ অর্থ বর্ষের পোস্ট ডিভোলিউশন রিভিনিউ ডিফিসিটের জন্য ১৪টি রাজ্যকে মোট ৮৬ হাজার ২০১ কোটি টাকা দিতে হবে। সেই সুপারিশ অনুযায়ী ধাপে ধাপে এই টাকা দেওয়া হচ্ছে। চলতি নভেম্বরে অষ্টম কিস্তিতে এই টাকা দেওয়ার ফলে এখনও পর্যন্ত রাজ্যগুলিকে মোট ৫৭ কোটি ৪৬৭ কোটি টাকা দেওয়া হল।
পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী ২০২০-২১ অর্থবর্ষ থেকে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষ পর্যন্ত সময়কালের জন্য এই আর্থিক অনুদান রাজ্যগুলি পাবে। রাজ্যগুলির প্রাপ্ত রাজস্ব ও ব্যয়ের তুল্যমূল্য ব্যবধানের ভিত্তিতে এই প্রাপ্য টাকা নির্ধারণ করা হয়। প্রতি মাসে ধাপে ধাপে এই টাকা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক অতীতে বার বার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু মমতাই নন, তৃণমূলের প্রথম থেকে মাঝারি সারির সব নেতাই সরব হয়েছেন কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে। কখনও একশো দিনের কাজের টাকা না পাওয়া আবার কখনও অন্য কোনও প্রকল্পের টাকা আটকে থাকার অভিযোগ তুলেছে রাজ্যের শাসক দল। পাল্টা যুক্তি ছিল বিজেপির। পদ্ম শিবিরের বক্তব্য ছিল, রাজ্য ঠিকমতো হিসেব দেয় না। এদিকে রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনও এগিয়ে আসছে। এমন এক পরিস্থিতিতে রাজ্যের জন্য এই বরাদ্দ স্বাভাবিকভাবেই বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।