হায়দরাবাদ: ফের হায়দরাবাদে সামনে এল গণধর্ষণের ঘটনা। জুবিলি হিলসের মতো এই ঘটনাতেও নির্যাতিতা এবং অভিযুক্তরা সকলেই নাবালক। ঘটনার পর পাঁচ নাবালক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হায়দরাবাদ পুলিশ জানিয়েছে, পর্ন দেখে নিজেদের যৌন বাসনা চরিতার্থ করতেই নিজেদের সহপাঠিনীকে গণধর্ষণ করেছে অভিযুক্তরা। সেই ঘটনার ভিডিয়ো তুলে রাখে নিজেদের মোবাইলে। তার পর আরও এক বার ওই নাবালিকার উপর নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ। গণধর্ষণের ভিডিয়ো বন্ধুদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পাঁচ নাবালক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে।
পুলিশ জানিয়েছে, স্কুল শেষের পর এলাকায় ঘুরে বেড়াতো নাবালকরা। মোবাইলে এক সঙ্গে পর্ন দেখত তারা। এই পর্ন ভিডিয়ো তাদের মধ্যে যৌন চাহিদা জাগিয়ে তোলে। তখন তারা পরিকল্পনা করে ওই নাবালিকাকে নিজেদের নিশানা বানায়। নাবালিকা ছাত্রী অভিযুক্তদের সঙ্গে একই ক্লাসে পড়ত। তার সঙ্গে অভিযুক্তদের ভাল সম্পর্কও ছিল। এ বছর অগস্ট মাসে বাড়ির লোক না থাকার সুযোগে ওই ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে পাঁচ জন। সেই ঘটনার ভিডিয়ো তুলে রেখেছিল তারা। এই ঘটনার দিন দশেক পর আরও এক নাবালক ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে। এর পর সেই ভিডিয়ো নিজেদের বন্ধুদেকর গ্রুপে শেয়ার করে অভিযুক্তরা। তখনই গোটা ঘটনার কথা বাড়ির লোককে জানান নাবালিকা। এর পরই হায়াতনগর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।
হায়দরাবাদের পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অভিযোগ দায়েরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাঁচ নাবালককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তারা সকলেই নবম শ্রেণির ছাত্র। এই ছাত্ররা নিজেদেরই সহপাঠিনীর উপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছে। নির্যাতিতার বয়স ১৭ বছর। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি, পকসো আইন এবং তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।