TV9 বাংলা ডিজিটাল: একের পর এক অ্যাপ ও পণ্য আমদানি বন্ধ করে ভারত (India) যখন চিনকে (China) বিপাকে ফেলার চেষ্টা করেছে, তখন না চাইতেও ভাতের জন্য চিনকে ভারতের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হচ্ছে। সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক যখন তলানিতে , ঠিক সেই সময় ভারতের থেকে বিপুল পরিমাণ চাল আমদানি (Rice Import) শুরু করেছে চিন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, গত তিন দশকে প্রথমবার বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চালের লেনদেন হচ্ছে দুই দেশের মধ্যে।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, অন্যান্য দেশের থেকে আমদানিতে টান পড়ার কারণে ভারতের কাছে চালের জন্য হাত পাততে হয়েছে চিনকে। গোটা বিশ্বে ভারতই সর্বাধিক চাল রফতানি করে। অন্যদিকে চাল আমদানি সবচেয়ে বেশি করে চিন। এক বছরে প্রায় ৪০ লক্ষ টন চালের প্রয়োজন হয় বেজিংয়ের। ভারত চালের সর্ববৃহৎ উৎপাদক হলেও এতদিন চিন চালের বাণিজ্যিক লেনদেন এড়িয়ে এসেছে। তবে এখন ঠেকায় পড়ে ভাতের চাহিদা মেটাতে ভারতের থেকে চাল কিনতে হচ্ছে জিংপিং সরকারকে। এ বছর ফলন স্বাভাবিক হওয়ায় ভারত আগ্রহ দেখিয়ে বেশ কম দামে চাল বিক্রি করেছে চিনকে।
ভারতের চাল রফতানি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিভি কৃষ্ণা রাও জানিয়েছেন, “এই প্রথমবার ভারতের কাছে থেকে চিন চাল কিনছে।“ লাদাখে সংঘর্ষের মধ্যেও চিনের চাল আমদানিকে ইতিবাচক ইঙ্গিত হিসেবেই দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর স্বপ্ন পূরণের প্রথম ধাপ হিসেবেও একে দেখছেন অনেকে।
আরও পড়ুন: মঙ্গলময়ের ইচ্ছায় তৃণমূল-শুভেন্দু সমস্যা মিটে যাক চেয়েছিলাম, এখন ভাল লাগছে: শিশির অধিকারী
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই প্রায় এক লাখ টন চাল চিনে রফতানি করেছে ভারত। টন-প্রতি দাম নেওয়া হয়েছে ২২ হাজার টাকার সামান্য বেশি। আগামী ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত আরও চাল চিনে রফতানি করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ভারতের মতোই চিনেও ভাত অন্যতম জনপ্রিয় এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যের মধ্যে পড়ে। কিন্তু, চিনে চাল উৎপন্ন হয় না। ফলে থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, মায়ানমার, পাকিস্তানের মতো দেশের থেকে চাল আমদানি করতে হত চিনকে। তবে এ বছর সেই দেশগুলির চালের ফলন আশানুরূপ না হওয়ায় ভারতের কাছে হাত পাততে হল চিনকে।