নয়া দিল্লি : দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে হিসেবে নানা কর্মসূচী রয়েছে বিজেপির। সেই কর্মসূচীর শুরুতেই দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে আমন্ত্রণ করা হল ভিন দেশের কূটনীতিকদের। বিজেপির ভাবমূর্তি কেমন, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তাই দেশের বাইরে দলের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখতেই এবার গেরুয়া শিবির এই উদ্যোগ নিয়েছে বলে মনে করেছেন অনেকেই। অন্যান্য দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই উদ্যোগের নাম দেওয়া হয়েছে টু নো বিজেপি বা বিজেপিকে জানুন। বুধবার তাই কূটনীতিকদের আমন্ত্রণ করা হয়েছে। তাঁদের কার্যালয় ঘুরে দেখানো হবে। উপস্থিত থাকবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, দলের মুখপাত্র শুধাংশু ত্রিবেদী সহ বেশ কয়েকজন সদস্য।
বিজেপির তরফ থেকে দেওয়া বিবৃতি অনুযায়ী, এ দিন দলের সদর দফতরে উপস্থিত থাকবেন ফ্রান্সের এমানুয়েল লেনাইন, ইউরোপের তরফে উগো অস্তুতো। পর্তুগালের কার্লোস পেরেরা মার্কাস, সুইজারল্যান্ডের রাফ হেকনার, পোল্যান্ডের অ্যাডাম বুরাকৌসকি, রোমানিয়ার তরফে ড্যানিয়েল সেডেনোভ তানে, বাংলাদেশের মহম্মদ ইমরান, সিঙ্গাপুররে সিমোন ওং ইউ কুয়েন, স্লোভাকিয়ার রবার্ট ম্যাক্সিম, ইতালির ভিন্সেনজো দে লুসা, হাঙ্গারির আন্দ্রাস লাসজলো কিরালি, ভিয়েতনামের ফাম সান চাউ, নরওয়ের হানস জেকব ফ্রাইডেলান্ড।
বিজেপির বিদেশ নীতির দায়িত্বে থাকা বিজয় চৌথাইওয়ালে জানান, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখাই মূলত বিজেপির লক্ষ্য। বুধবার অনুষ্ঠানের শুরুতে বিদেশের ওই প্রতিনিধিদের দলের কার্যকলাপ সম্পর্কে কিছু কথা বলবেন জেপি নাড্ডা। পরে দল সম্পর্কিত একটি তথ্যচিত্র দেখানো হবে তাঁদের। এরপর আলাদা আলাদা ভাবে প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলবে দলীয় নেতৃত্ব। এই ধরনে কর্মসূচী এটাই প্রথম। ভবিষ্যতে এরকম আরও অনেক কর্মসূচী নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
আসলে বিজেপি নেতৃত্ব মনে করছে, ভারতের বাইরে অন্যান্য দেশে বিজেপি সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারনা রয়েছে। কেউ ভাবে এটা একটা কট্টরপন্থী দল, কেউ ভাবে কোনও চরমপন্থী সংগঠন। তাই এই পদক্ষেপ নিয়েছে বিজেপি।