নয়া দিল্লি : সম্প্রতি কংগ্রেস ছেড়েছিলেন বর্ষীয়ান নেতা তথা পঞ্জাব কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রধান সুনীল জাখার। এরপর বৃহস্পতিবার দিল্লিতে যোগ দিলেন বিজেপি শিবিরে। এদিন দিল্লিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার সঙ্গে দেখা করেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা। এরপর আজই তাঁর বিজেপিতে যোগদান নিয়ে জল্পনা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। অবশেষে দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে জেপি নড্ডা ও উপস্থিতিতে হাতে তুলে নিলেন বিজেপির পতাকা।
কংগ্রেসের অন্দরে তাঁকে নিয়ে বহুদিন ধরেই জল্পনা শুরে হয়েছিল। গত পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই সেই জল্পনার সূত্রপাত। পঞ্জাবের প্রাক্তন কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নিকে একাধিকবার কটাক্ষ ও সমালোচনা করতে শোনা গিয়েছিল এই প্রাক্তন কংগ্রেস নেতাকে। সেই অভিযোগে সম্প্রতি কংগ্রেসের তরফে তাঁকে শোকজ় নোটিস পাঠানো হয়েছিল। তারপর তাঁকে নিয়ে বিচারসভা বসে কংগ্রেসের অন্দরে। গতমাসে কংগ্রেসর শৃঙ্খলা-রক্ষা কমিটি বৈঠক করে তাঁকে দল থেকে দু’বছরের জন্য বরখাস্ত করার ও দলের সমস্ত পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরমার্শ দিয়েছিল। এরপর দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত থাকার পরে দল ছেড়ে বেরিয়ে আসেন পঞ্জাব কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। রাজস্থানের জয়পুরে কংগ্রেসকে ঢেলে সাজাতে যখন ব্যস্ত ছিলেন নেতারা সেই সময় ফেসবুক লাইভে এসে নাটকীয়ভাবে ইস্তফা দেন জাখার।
এদিকে বিজেপিতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, পঞ্জাব থেকে রাজ্য সভার আসন পেতে পারেন তিনি। এর পাশাপাশি তাঁর হাত ধরেও বেশ কয়েকজন বিক্ষুব্ধ নেতা বিজেপি শিবিরে যোগ দিতে পারেন বলে সম্ভাবনা দেখা গিয়েছে। সুনীল জাখারকে দলে পাওয়া বিজেপির আরও একটা বড় পাওনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। পঞ্জাবে অ-শিখ মুখ হচ্ছে সুনীল জাখার। এছাড়াও কংগ্রেসের অসন্তুষ্ট ও বিক্ষুব্ধ নেতাদের উপর একটা কর্তৃত্ব রয়েছে তাঁর। এর ফলে বিজেপির দল ভারী হলেও হতে পারে। এছাড়াও পঞ্জাবের প্রতিবেশী রাজ্য হিমাচল প্রদেশে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে কাজে লাগাতে পারে বিজেপি। প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা ক্যাপ্টেন অমিরন্দর সিংয়ের সঙ্গে জোটের পর সুনীল জাখারকে দলে পাওয়া বিজেপির কাছে বড় ব্রেক হতে চলেছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।