নয়া দিল্লি: অসুস্থ হয়ে পড়লেন জেলবন্দি আপ নেতা তথা দিল্লির প্রাক্তন স্বাস্থ্য়মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। সোমবার (২২ মে), তাঁকে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রুগ্ন স্বাস্থ্যের সত্যেন্দ্র জৈনের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেই ছবিতে দিল্লির প্রাক্তন স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রায় চেনাই যাচ্ছে না। ২০২২ সালের ৩০ মে এক জমি দুর্নীতি মামলার তদন্তে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট। অর্থাৎ প্রায় ১ বছর হয়ে গেল তিহাড় জেলে আছেন তিনি। এই এক বছরে তাঁর ৩৫ কিলোগ্রাম ওজন কমেছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিন সকালেই ভগ্নস্বাস্থ্যের কারণে সত্যেন্দ্র জৈনকে তিহার জেল কর্তৃপক্ষ সফদরজং হাসপাতলে নিয়ে যায়। তাঁর ঠিক কী হয়েছে, চিকিৎসকরা কী বলেছেন – এই ধরনের কোনও তথ্যই পাওয়া যায়নি। তবে জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, শিরদাঁড়ার সমস্যা নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী। শনিবার তাঁকে দীনদয়াল উপাধ্যায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এদিন দ্বিতীয় মতের জন্য সফদরজং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সফদরজং হাসপাতালের এক মুখপাত্র বলেছেন, “সত্যেন্দ্র জৈন এদিন আউটডোরে নিউরোসার্জারি বিভাগের ডাক্তার দেখান।” জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে জেল ক্লিনিকে এক মনোরোগ বিশেষজ্ঞেরও সাহায্য নিয়েছেন দিল্লির প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ওই মনোরোগ বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, সত্যেন্দ্র জৈন অবসাদ এবং একাকীত্বে ভুগছেন। তাঁকে লোকজনের মধ্যে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগের মধ্যে থাকতে বলেছেন।
গত ১৫ মে সত্যেন্দ্র জৈনের ভগ্নস্বাস্থ্যের কারণ দেখিয়েই সিনিয়র আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি সুপ্রিম কোর্টে তাঁর জামিনের আবেদন করেছিলেন। অভিষেক মনু সিংভি বলেন, “তাঁর ৩৫ কেজি ওজন কমে গিয়েছে, এখন তিনি কঙ্কালসার হয়ে গিয়েছেন।” এর আগে গত এপ্রিল মাসে দিল্লি হাইকোর্ট তাঁর এবং তাঁর দুই সঙ্গীর জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল। অভিষেক মনু সিংভির আবেদনের পর, সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে একটি নোটিস জারি করেছে। সত্যেন্দ্র জৈনকে সুপ্রিম কোর্টের অবসরকালীন বেঞ্চে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আদালত। অবসরকালীন বেঞ্চে দিল্লি হাইকোর্টের রায়কে জরুরী ভিত্তিতে চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন তিনি।
এদিকে সত্যেন্দ্র জৈনের অসুস্থতার খবর পেয়ে, তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। হিন্দিতে টুইট করে তিনি লিখেছেন, “তাঁর সুস্বাস্থ্যের জন্য আমি ভগবানের কছে প্রার্থনা করি। বিজেপির অহঙ্কার এবং অত্যাচার দেখছে দিল্লির মানুষ। এই অত্যাচারীদের ভগবানও ক্ষমা করবেন না। এই লড়াইয়ে ভগবান এবং মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে। আমরা ভগৎ সিং-এর অনুগামী এবং নিপীড়ন, অবিচার এবং একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের এই লড়াই চলবে।”