Big Verdict: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নাতির চূড়ান্ত পরিণতি, আদালত শোনাল, যাবজ্জীবন সাজা
Prajwal Revanna Life Sentence: দল যখন প্রজ্বলকে নিয়ে 'আত্মবিশ্বাসী', সেই সময়েই প্রকাশ্যে এল একটি পেনড্রাইভ। যাতে ছিল প্রজ্বলের যৌন হেনস্থার একাধিক ভিডিয়ো, এমনটাই অভিযোগ। যা ছড়িয়ে পড়তেই দল থেকে সাসপেন্ড করা হল তাকে। রাতারাতি ভারত ছেড়ে জার্মানি পালালেন রেভান্না।

বেঙ্গালুরু: নিজের পরিচারিকাকে ব্ল্যাকমেইল করার জন্য সেই ভিডিয়ো পেনড্রাইভে রেখেছিলেন প্রাক্তন সাংসদ প্রজ্বল রেভান্না। আর বিচারপর্বে সেটাই তার জীবনের কাল হল। শনিবার প্রাক্তন সাংসদ তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার নাতিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনাল বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালত। শুক্রবারই একটি ধর্ষণ মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন বিচারক। শনিবার ছিল রায়দান পর্ব। আর তাতেই জীবন ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেল রেভান্নার।
গোটা ঘটনার সূত্রপাত গতবছর। লোকসভা নির্বাচনের ডঙ্কা বেজে গিয়েছে। কর্নাটকের হাসান কেন্দ্র থেকে বরাবরের মতো জেডি (এস)-র টিকিট পেয়ে দাঁড়িয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নাতি ও কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামীর ভাইপো প্রজ্বল রেভান্না। কিন্তু তখনই ঘটল গোলমাল। দল যখন প্রজ্বলকে নিয়ে ‘আত্মবিশ্বাসী’, সেই সময়েই প্রকাশ্যে এল একটি পেনড্রাইভ। যাতে ছিল প্রজ্বলের যৌন হেনস্থার একাধিক ভিডিয়ো, এমনটাই অভিযোগ। যা ছড়িয়ে পড়তেই দল থেকে সাসপেন্ড করা হল তাকে। রাতারাতি ভারত ছেড়ে জার্মানি পালালেন রেভান্না।
কিন্তু ভারতে ততক্ষণে জল গড়িয়ে পৌঁছেছে দিল্লিতে। কোটে বল পেয়ে যান বিরোধীরা। এই সময়কালেই প্রজ্বলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন তারই বাগানবাড়িতে কর্মরত এক পরিচারিকা।
নির্যাতিতার অভিযোগ, দিনের পর দিন হোলেনারসিপুরায় একটি বাগানবাড়িতে আটকে রেখে পৈশাচিক অত্য়াচার করেছে প্রজ্বল। এমনকি, বেঙ্গালুরু বাসগৃহে এনে চলেছে ধর্ষণ। আর সেই প্রতিটি ঘটনার ভিডিয়ো রেকর্ড করে রেখেছিলেন প্রজ্বল। যা দেখিয়ে আবার চলত ব্ল্যাকমেইল। শুধু এই পরিচারিকাই নয়। প্রজ্বলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করে তার দলেরই এক কর্মীও। সব মিলিয়ে এই সময়কালে মোট তিন থেকে চারটি মামলা দায়ের হয়। অবশ্য, সেই পেনড্রাইভ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একাংশের অভিযোগ প্রজ্বল কমপক্ষে শতাধিক মহিলাকে যৌন হেনস্থা করেছেন।
এরপরই প্রজ্বলকাণ্ডে গঠন হয় সিট। দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দেয় কর্নাটকের সরকার। জার্মানি থেকে ভারতে ফিরতেই গ্রেফতার করা হয় তাকে। ১৪ মাসের মধ্যে শেষ হয় বিচারপ্রক্রিয়া। শুক্রবার দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর কাঁদতে কাঁদতে আদালতে চত্বর থেকে বেরতে দেখা যায় প্রজ্বলকে। শনিবার অবশেষে মেলে সাজা। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রাক্তন সাংসদের বিরুদ্ধে দশ লক্ষ টাকার জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। নির্যাতিতাকেও ৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ আদালতের।

