মানওয়ার: বিভিন্ন সময় ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানা ধরনের ঘটনা সামনে আসে। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মধ্য প্রদেশের (Madhya Pradesh) মানওয়ারে (Manwar) এমন এক ঘটনা ঘটেছে যাতে নির্বাচনী ব্যবস্থাই বড়সড় প্রশ্ন চিহ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে। সে রাজ্যের ধর জেলার গান্ধওয়ানি ব্লকের কাছে খারবারদি গ্রামে শনিবার প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান সুভান দাওয়ার সহ ১৯ জন মিলে গ্রামের ৫ জনকে বেধড়ক মারধর করেছে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। সেই গ্রামে পঞ্চায়েত ভোটে দুই প্রার্থীর নির্বাচনী লড়াই নিয়ে পরিস্থিতি রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। ভোট পরাজিত প্রার্থীর স্বামী তথা প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান জয়ী প্রার্থীর অনুগামীদের মারধর ও শারীরিক হেনস্থা করেছে বলেই অভিযোগ।
কমল ধারভ নামে স্থানীয় এক গ্রামবাসী জানিয়েছেন, প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান সুভান দাওয়ার তাঁর স্ত্রী সায়াদিবাইকে নিজের মামতো ভাই রাজেন্দ্র মান্ডলোইয়ের স্ত্রী রীনার বিরুদ্ধে প্রার্থী করেছিলেন। ফল বেরতে দেখা যায় রীনা ১১৫ ভোটে জয়ী হয়েছেন। স্ত্রীয়ের এই পরাজয় মানতে না পেরে সঙ্গী-সাথীদের সঙ্গে অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়েছিল সুবহান। রাজেন্দ্র মন্ডলোই, ধনসিং, সুন্দরলাল, গুমান, আশিস সহ পাঁচজন মারধরের ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান তাদেরও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন।
এই মারধরের ঘটনার খবর পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল গান্ধওয়ানি থানার পুলিশ। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। এই ঘটনার পর পঞ্চায়েত প্রধান সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ড বিধির ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ২৯৪, ৩২৩ এবং ৫০৬ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। জানা গিয়েছে অভিযুক্তদের প্রত্যেকেই পলাতক এবং তাদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।