লখনউ: চলে গেলেন উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিং। দীর্ঘ সময় অসুস্থ থাকার পর শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানী নয়া দিল্লিতে তাঁর জীবনাবসান হয়। ৮৯ বছর বয়সে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। আজীবন বিজেপির একনিষ্ঠ সদস্য ছিলেন কল্যাণ সিং। অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংস হওয়ার সময় তিনিই উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে ছিলেন। হিন্দুত্ববাদী জাতীয়তাবাদের পোস্টার বয় হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। এ দিন দিল্লিতে তাঁর প্রয়াণ হয়। গত মাসের ৪ জুলাই থেকে আইসিইউ-তে ভর্তি ছিলেন তিনি।
কল্যাণ সিংয়ের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরপর তিনটি টুইটে কল্যাণ সিংয়ের স্মৃতিচারণা করেন তিনি। লেখেন, উত্তর প্রদেশের উন্নয়নে তাঁর যে অবদান ছিল তা অবিস্মরণীয়। ভারতীয় সংস্কৃতি নতুন রূপে তুলে ধরার জন্য পরের কয়েক প্রজন্ম কল্যাণ সিংয়ের কাছে ঋণী থাকবে বলেও উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতীয় কৃষ্টি এবং সংস্কৃতির প্রতি তাঁর গভীর টানের কথাও ব্যক্ত করেন নমো।
I am saddened beyond words. Kalyan Singh Ji…statesman, veteran administrator, grassroots level leader and great human. He leaves behind an indelible contribution towards the development of Uttar Pradesh. Spoke to his son Shri Rajveer Singh and expressed condolences. Om Shanti. pic.twitter.com/ANOU2AJIpS
— Narendra Modi (@narendramodi) August 21, 2021
Generations to come will remain forever grateful to Kalyan Singh Ji for his contributions towards India’s cultural regeneration. He was firmly rooted in Indian values and took pride in our centuries old traditions.
— Narendra Modi (@narendramodi) August 21, 2021
Kalyan Singh Ji gave voice to crores of people belonging to the marginalised sections of society. He made numerous efforts towards the empowerment of farmers, youngsters and women.
— Narendra Modi (@narendramodi) August 21, 2021
অন্যদিকে, এই দুঃসংবাদ পাওয়ার পরই হাসপাতালে পৌঁছে যান উত্তর প্রদেশের মুখ্য়মন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনিও শোকপ্রকাশ করেন। সূত্রের খবর, আগামী তিনদিন জুড়ে শোকপালন করা হবে যোগী রাজ্যে।
সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে দু’বার সাংসদ ও দু’বার মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন কল্যাণ সিং। এরপর ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত রাজস্থানের রাজ্যপালও ছিলেন তিনি। তার আগে কয়েকমাস হিমাচল প্রদেশের রাজ্যপালের দায়িত্ব পালন করেন। প্রথমবার তিনি মুখ্যমন্ত্রী হন ১৯৯১ সালের জুন মাসে। তবে সেবার দেড় বছরের জন্য স্থায়ী হয় তাঁর চেয়ার। দ্বিতীয়বার ১৯৯৭ সালে সুযোগ আসে। কিন্তু সেবারও পাঁচ বছরের মেয়াদ সম্পূর্ণ করতে পারেননি। দু’বছরের মাথায় মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসে পড়েন মায়াবতী।
অবিভক্ত ভারতের উত্তর প্রদেশে আলিগড় জেলায় ১৯৩২ সালে জন্মগ্রহণ করেন কল্যাণ সিং। লোধি সম্প্রদায়ের বাড়িতে জন্ম নেওয়া কল্যাণ সিং ছোট বয়সেই যোগ দেন আরএসএস-এ। তাঁর ছেলে এবং নাতি রাজবীর সিং এবং সন্দীপ সিংও ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্য। ১৯৬৯ থেকে ২০০২ সাল সাল পর্যন্ত টানা ১০ টি বিধানসভা নির্বাচনে আটরুলি কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হন তিনি। জেতেন ৯ টি নির্বাচনে। ২০০৯ সালে এটা লোকসভা কেন্দ্র থেকে সাংসদও নির্বাচিত হন তিনি।