ইম্ফল: অশান্তির আগুন নিভছেই না মণিপুরে। এবার সিআরপিএফের উপরেই হামলা। পাল্টা গুলিতে নিহত কমপক্ষে ১০ জঙ্গি। নিহতরা সকলেই কুকি সম্প্রদায়ের বলেই জানা গিয়েছে। হামলার পরই মণিপুর জুড়ে কার্ফু জারি করা হয়েছে।
সোমবার মণিপুরের জিরিবামে সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের উপরে হামলা চালায় জঙ্গিরা। জানা গিয়েছে, অসমের সীমান্ত লাগোয়া জিরিবামে একটি পুলিশ স্টেশনে দুইদিক থেকে হামলা শুরু করে। ওই পুলিশ স্টেশনের পাশেই অস্থায়ী ত্রাণ শিবির রয়েছে। সেটিই মূল নিশানা ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
থানায় হামলার পর জঙ্গিরা আশেপাশের বাড়িগুলিতে আগুন ধরিয়ে দিতে শুরু করে। তখনই নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয়। সংঘর্ষে প্রথমে এক জওয়ান আহত হন। এরপরই দুই পক্ষের মধ্যে এনকাউন্টার শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত গুলির লড়াইয়ে ১০ জঙ্গির মৃত্য়ু হয়েছে বলেই খবর।
Today, 11th November, 2024 at about 3 pm, the CRPF Post located at Jakuradhor and Borobekra Police Station (located nearby), Jiribam District were attacked by armed militants. The security forces retaliated strongly. Due to the attack, one CRPF constable namely Sanjeev Kumar… pic.twitter.com/8ORw3EB4Pg
— Manipur Police (@manipur_police) November 11, 2024
প্রসঙ্গত, জিরিবামের এই পুলিশ স্টেশনে এর আগেও একাধিকবার হামলা হয়েছে অস্ত্র লুঠপাটের জন্য। আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টাও হয়।
গতকালের হামলার পরই অতিরিক্ত বাহিনী পাঠিয়েছে সিআরপিএফ। অন্যদিকে, কুকি জনগোষ্ঠীর তরফে বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে তাঁদের ‘ভিলেজ ভলেন্টিয়ার’দের মৃত্য়ুর প্রতিবাদে। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসনের তরফে কার্ফু জারি করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সংঘর্ষে নিহত জঙ্গিদের কাছ থেকে রকেট প্রপেলড গ্রেনেড থেকে শুরু করে একে সিরিজের অ্যাসল্ট রাইফেল উদ্ধার হয়েছে। ভিলেজ ভলেন্টিয়ারদের কেবল সিঙ্গল ব্যারেল বন্দুক ব্যবহার করারই অনুমতি রয়েছে, তাও লাইসেন্সপ্রাপ্ত। কিন্তু বিভিন্ন সময়েই কুকি জঙ্গিদের কাছে অত্যাধুনিক অস্ত্র দেখা গিয়েছে। এই অস্ত্র কোথা থেকে আসছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।