APJ Abdul Kalam থেকে Droupadi Murmu, কোন নেতা-মন্ত্রীরা ফাইটার জেটে উড়েছেন?
Who Flew In Fighter Jets: এই আম্বালা বিমানঘাঁটি থেকেই মাসখানেক আগে অপারেশন সিঁদুরে অংশ নিয়েছিল রাফালে জেট। পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার জবাবে পাকিস্তানে নির্ভুল এয়ার অ্যাটাক করা হয়েছিল এই অপারেশনে। রাষ্ট্রপতিদের মধ্যে প্রথম যুদ্ধবিমান চড়ার রেকর্ড গড়েছিলেন এপিজে আব্দুল কালাম।

বুধবার, ২০২৫ সালের ২৯ অক্টোবর আম্বালা এয়ারবেস থেকে ভারতীয় বায়ুসেনার সবচেয়ে উন্নত মাল্টিরোল কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট রাফালে সওয়ার হলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসাবে এই বিমানটিতে উড়লেন তিনি। এই পদক্ষেপ একাধারে ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের সক্ষমতা ও ভারতের সামরিক প্রস্তুতির প্রতি দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক প্রধান অর্থাৎ রাষ্ট্রপতির আস্থার প্রতীক।
এই আম্বালা বিমানঘাঁটি থেকেই মাসখানেক আগে অপারেশন সিঁদুরে অংশ নিয়েছিল রাফালে জেট। পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার জবাবে পাকিস্তানে নির্ভুল এয়ার অ্যাটাক করা হয়েছিল এই অপারেশনে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের সবচেয়ে উন্নত জেটে রাষ্ট্রপতির এই সওয়ার হওয়া দেশবাসীর আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।
এর আগে রাষ্ট্রপতি মুর্মু ২০২৩ সালের এপ্রিলে অসমের তেজপুর থেকে সুখোই-৩০ এমকেআই বিমানও উড়েছিলেন। তিনিই দেশের দ্বিতীয় নারী রাষ্ট্রপ্রধান যিনি যুদ্ধবিমানে সওয়ার হলেন। ২০০৯ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিল ৭৪ বছর বয়সে প্রথম নারী হিসেবে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন। তিনি ৩০ মিনিট ধরে সুখোই-৩০ এমকেআইতে উড়েছিলেন।
রাষ্ট্রপতিদের মধ্যে প্রথম যুদ্ধবিমান চড়ার রেকর্ড গড়েছিলেন এপিজে আব্দুল কালাম। ২০০৬ সালে ৭৪ বছর বয়সে তিনি ৪০ মিনিট সুখোই-৩০-এর ককপিটে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি তেজস বিমানে উড়েছিলেন ২০২১ সালে। এ ছাড়াও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, নির্মলা সীতারমণসহ অনেক মন্ত্রীই ভারতীয় বায়ুসেনার বিভিন্ন যুদ্ধবিমানে সওয়ার হয়েছেন।
দেশের রাষ্ট্রপ্রতি, প্রধানমন্ত্রী সহ একাধিক মন্ত্রীদের এই যুদ্ধবিমানে ওঠা প্রমাণ করে, জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতার ক্ষেত্রে ভারত কোনও আপস করতে রাজি নয়। ভবিষ্যতের যে কোনও চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় প্রস্তুত আমাদের বায়ুসেনা।
