নয়া দিল্লি: ২৭ অগস্ট ভারতের ৪৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন বিচারপতি ইউ ইউ ললিত। মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) তাঁর দায়িত্ব ছাড়ার কথা। কিন্তু, গুরু নানক জয়ন্তী উপলক্ষ্যে আদালত ছুটি থাকায়, সোমবারই ছিল তাঁর শেষ কর্মদিবস। এদিনই দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের হাতে ব্যাটন তুলে দিলেন তিনি। এদিন সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে তাঁকে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেই সভায় বিচারপতি ললিত দাবি করলেন, দায়িত্ব নেওয়ার সময় তিনি যে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, মোটামুটিভাবে তিনি তার সবই পূরণ করেছেন।
এদিন বিদায়ী প্রধান বিচারপতি ললিত জানিয়েছেন, তাঁর সময়ে কিছুটা হলেও তালিকাভুক্ত মামলাগুলির নিষ্পত্তি করা গিয়েছে এবং নিয়মিত সাংবিধানিক বেঞ্চ বসেছে। বিচারপতি ললিত বলেন, “আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে আমার মনে পড়েছে আমি কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। আমি বলেছিলাম, তালিকাভুক্ত মামলাগুলির নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করব। নিয়মিত সাংবিধানিক বেঞ্চ চলবে। কিছুদূর পর্যন্ত আমি এই প্রতিশ্রুতিগুলি পূরণ করেছি। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আমরা ১০,০০০টি মামলার নিষ্পত্তি করেছি। যার মধ্যে ৮,৭০০টি ছিল তালিকাভুক্ত। প্রায় ১৩,০০০টি ত্রুটিপূর্ণ মামলারও নিষ্পত্তি করা হয়েছে। তাই বলা যেতে পারে পাহাড় প্রমাণ সমস্যার কিছুটা হলেও আমরা সমাধান করতে পেরেছি।”
বিচারপতি ললিতের বিদায় সংবর্ধনায় ভাষণ দেন ভাবি প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ও। এদিন তিনি বিচারপতি ললিতের সঙ্গে বেঞ্চ ভাগ করার অভিজ্ঞতার পাশাপাশি, তাঁর সঙ্গে দীর্ঘ পারিবারিক সম্পর্কের কথাও তুলে ধরেন। বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, “আমাদের দুজনের পারিবারিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। মুম্বইয়ে আমার বাবার চেম্বারে জুনিয়র হিসেবে কাজ করতেন প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিতের বাবা।” এরপর বিদায়ী প্রধান বিচারপতির সহযোগিতামূলক এবং সহানুভূতিশীল চরিত্রের পরিচয়ও দেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। তিনি বলেন, “আমি দেখেছি, প্রদান বিচারপতি ললিত অত্যন্ত সহযোগী মনোভাবের। বরাবর তিনি সকলের সঙ্গে পরামর্শ করে চলেন এবং অত্যন্ত সহানুভূতিশীল।” তিনি আরও জানান, প্রধান বিচারপতি হিসেবে ইউইউ ললিত যে জুতো ছেড়ে যাচ্ছেন, তাতে পা গলানো তাঁর পক্ষে বেশ কঠিন হবে।