G-20 meeting in Kashmir: উপত্যকায় নির্বিঘ্নে সম্পন্ন জি-২০ বৈঠক, পর্যটন ক্ষেত্রের উন্নয়নে বিশেষ অগ্রগতি

TV9 Bangla Digital | Edited By: Sukla Bhattacharjee

May 26, 2023 | 8:16 PM

G-20 meeting: এই বৈঠকেই ফিল্ম ট্যুরিজম বাড়ানোর জন্য পর্যটন মন্ত্রক ও FICCI-এর মধ্যে মউ স্বাক্ষরিত হয়। একইসঙ্গে ইকো ট্যুরিজম উন্নয়ন করতে পর্যটন মন্ত্রক ও CII-এর মধ্যে ফর মউ স্বাক্ষরিত হয়।

G-20 meeting in Kashmir: উপত্যকায় নির্বিঘ্নে সম্পন্ন জি-২০ বৈঠক, পর্যটন ক্ষেত্রের উন্নয়নে বিশেষ অগ্রগতি
কাশ্মীরে জি-২০ বৈঠক সফল।

Follow Us

শ্রীনগর: দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে বরাবরই অন্যতম প্রথম পছন্দের স্থান হল, জম্মু-কাশ্মীর। এবার সেই জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu & Kashmir) পর্যটনের আরও প্রসার ঘটাতে আয়োজিত জি-২০ বৈঠক (G-20 Meeting) সফল বলা চলে। চলতি সপ্তাহে তিনদিন ধরে শ্রীনগরে চলা জি-২০ বৈঠকে শুধু পর্যটন নয়, উপত্যকায় ফিল্ম ট্যুরিজম থেকে ইকো ট্যুরিজমের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে FICCI ও CII -এর সঙ্গে পর্যটন মন্ত্রকের চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে।

গত ২২ মে থেকে ২৪ মে পর্যন্ত তিনদিন ব্যাপী জি-২০ বৈঠক আয়োজিত হয় কাশ্মীর উপত্যকায়। মূলত, পর্যটন ওয়ার্কিং কমিটি গ্রুপের বৈঠক হয়। এই বৈঠকে চিন, তুরস্ক ও সৌদি আরব যোগ না দিলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। তাঁদের সামনে উপত্যকায় পর্যটন থেকে সিনেমা তৈরির সম্ভাবনাময় দিকগুলি তুলে ধরেন জি-২০ আহ্বায়ক হরিশ বর্ধন স্রিংলা, কেন্দ্রীয় পর্যটনমন্ত্রী জি. কিষাণ রেড্ডি, কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং, শেরপা অমিতাভ কান্থ সহ ভারতের অন্যান্য প্রতিনিধিরা। ভূ-স্বর্গে ফিল্ম ট্যুরিজমের সম্ভাবনার দিকটি প্রেজেনটেশনের মাধ্যমে জি-২০ প্রতিনিধিদের সামনে তুলে ধরেন জম্মু-কাশ্মীর পর্যটন সচিব সঈদ আবিদ রশিদ শাহ। দীর্ঘ আলোচনা পর এই বৈঠকেই ফিল্ম ট্যুরিজম বাড়ানোর জন্য পর্যটন মন্ত্রক ও FICCI-এর মধ্যে মউ স্বাক্ষরিত হয়। একইসঙ্গে ইকো ট্যুরিজম উন্নয়ন করতে পর্যটন মন্ত্রক ও CII-এর মধ্যে ফর মউ স্বাক্ষরিত হয়। যা জম্মু-কাশ্মীরের পর্যটন থেকে সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় ধাপ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

প্রসঙ্গত, শ্রীনগরের ডাল লেক সংলগ্ন শের-ই-কাশ্মীর ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে আয়োজিত হয় তিনদিন ব্যাপী জি-২০ ট্যুরিজম ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর এটাই প্রথম আন্তর্জাতিক বৈঠক হয় উপত্যকায়। ফলে এই বৈঠক ঘিরে নাশকতার আশঙ্কা ছিল। বিতর্কিত স্থান জানিয়ে বৈঠকে যোগ দেয়নি চিন। যদিও সার্বভৌম ভারতে যে কোনও জায়গায় বৈঠকের আয়োজন করার অধিকার সরকারের রয়েছে বলে ভারতের তরফেও কড়া জবাব দেওয়া হয়েছিল। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বৈঠকের আগে থেকেই কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল শ্রীনগর সহ গোটা কাশ্মীর। শেষ পর্যন্ত নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন হয় সমগ্র বৈঠক। এই বৈঠকে জি-২০ ভুক্ত দেশগুলির প্রায় ৬০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেছিলেন।

Next Article