নয়া দিল্লি: গত সপ্তাহেই জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu-Kashmir) শেষ হয়েছে জি-২০ বৈঠক। আন্তর্জাতিক এই বৈঠকের জন্য নতুন মোড়কে সেজে উঠেছিল গোটা উপত্যকা। জোর দেওয়া হয়েছিল সৌন্দর্যায়ন ও উন্নয়নের উপর। উপত্যকার জন্য জি-২০ বৈঠক (G-20 Meeting) কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা সবার আগে বুঝতে পেরেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। তাঁর উদ্যোগেই এতবড় কর্মযজ্ঞ সফল হয়েছে বলে মত কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডির। তিনি বলেন, “এর আগে যখনই বিভিন্ন দেশে জি-২০ এর বৈঠক বসেছে, তা সর্বদাই দেশের জাতীয় রাজধানীতে হয়েছে। সেটা ১০০ বৈঠকই হোক বা ২০০, সবই হয়েছে দেশের রাজধানী শহরে। কিন্তু, প্রথমবারের মতো আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে বিষয়টিকে দেখলেন। তিনিই প্রথম ভাবলেন এটা শুধু দিল্লিতেই করা উচিত নয়। অন্য রাজ্যেও বৈঠকের আয়োজন করা উচিত। আড়াইশোটি বৈঠক বসতে চলেছে ৫৬টি শহরে।”
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, কাশ্মীরের পর্যটন শিল্পের উপর নতুন করে জোর দিতে, পর্যটক টানতেই এবারে জি-২০ বৈঠকের জন্য কাশ্মীরকে বেছে নেওয়া হয়। জি কিষাণ রেড্ডির মতে, আগামীতেও বৈঠকের আয়োজনের সময় জোর দেওয়া হবে এই বিষয়ে। পাশাপাশি সংস্কৃতি ও নিরাপত্তার বিষয়টিও মাথায় রাখা হবে। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর বরাবরই কাশ্মীরের উন্নতির উপর নজর দিতে দেখা গিয়েছে মোদী সরকারকে। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দাপাদাপি কমাতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। তুলে দেওয়া হয়েছে ৩৭০ ধারা। জি কিষাণ রেড্ডির মতে, বর্তমানে অন্ধতার অনেকটাই দূর হয়েছে কাশ্মীরের বুক থেকে। কমেছে সন্ত্রাসীদের উপদ্রব।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি কাশ্মীরে রাজনীতি করেছি। আমি দলের যুব সদস্য হিসাবে দীর্ঘদিন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থেকেছি। সেই সময় কাশ্মীরে পর্যটন শিল্প কার্যত শেষ হয়ে গিয়েছিল। সন্ত্রাসবাদ, AK47, স্ট্রাইক, গুলি, এনকাউন্টার, যুদ্ধ, এসবই আমরা দেখেছি। হাজার হাজার মানুষ, সে উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক হোক বা সাধারণ মানুষ, কতজন যে শহিদ হল।”
তবে তাঁর সাফ দাবি, “পরিস্থিতি এখন অনেকটাই বদলে গিয়েছে।” রীতিমতো সন্তোষ প্রকাশ করে জি কিষাণ রেড্ডি বলেন, “তৃপ্তির সঙ্গে বলতে পারি আজ পরিস্থিতি অনেক ভাল। মানুষ চিন্তায় ছিল। অনেক মানুষ তাঁদের যাবতীয় সম্পত্তি হারিয়েছিলেন, বেকারত্ব বেড়েছিল। কিন্তু, এখন ৩০ বছর পর উপত্যকায় গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচন হয়েছে।”