আহমেদাবাদ: গুজরাটের গান্ধীনগরে অনুষ্ঠিত হল জি২০-র অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের গভর্নরদের তৃতীয় বৈঠক। মূল বৈঠকের পাশাপাশি, বেশ কিছু সেমিনার এবং সাইড ইভেন্টের আয়োজন করা হয়েছিল। কর ফাঁকি, দুর্নীতি এবং আর্থিক নয়ছয় প্রতিরোধের বিষয়েও একটি পৃথক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। অর্থমন্ত্রী নির্মা সীতারামন দাবি করেন, অর্থনৈতদিক সহযোগিতা এবং উন্নয়ন সংস্থার সহযোগিতায় দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে কর ফাঁকি এবং আর্থিক অপরাধের তদন্তের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছে ভারত। ভারতের সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক অপরাধের ক্ষেত্রে জি২০-র আইন প্রয়োগের ক্ষমতা বৃদ্ধি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যপী কর ফাঁকি, দুর্নীতি এবং অর্থ পাচার বিরোধী বেশ কিছু সংস্কারমূলক পদক্ষেপ করেছে জি২০।
পাশাপাশি পরিকাঠামো লগ্নিকারীদের একটি পৃথক বৈঠক হয়। জি২০ সদস্য দেশ এবং অতিথি দেশগুলির লগ্নিকারীরা ভবিষ্যতের শহর নির্মাণের জন্য তহবিল সংগ্রহ, সেই তহবিল কীভাবে এবং ব্যবহার করা হবে – এই বিষয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেন। ভবিষ্যতের শহরগুলি নির্মাণে বেসরকারি খাত থেকে কীভাবে তহবিল বাড়ানো যায়, তার বিভিন্ন উপায় উঠে এসেছে এই আলোচনায়। নগর পরিকল্পনার আরও বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে এই সভায়।
‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে বৃদ্ধি-বান্ধব পদক্ষেপ এবং উদীয়মান ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির জন্য অর্থায়ন’ বিষয়ে সেমিনারে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন ইন্দোনেশিয়ার অর্থমন্ত্রী মুল্যানি ইন্দ্রাবতী। সেমিনারে আলোচনা হয়, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং ম্যাক্রো ফ্রেমওয়ার্কের রূপান্তরের একীকরণ’-এর উপর।
মুল্যানি ইন্দ্রাবতী ছাড়া অন্যান্য প্যানেলিস্টরা ছিলেন ভারত সরকারের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. ভি অনন্ত নাগেশ্বরন, ব্রাজিলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক তাতিয়ানা রোসিতো, পিপলস ব্যাঙ্ক অব চায়নার ডেপুটি গভর্নর জুয়ান চ্যাংনেং, পিটারসন ইনস্টিটিউটের ফেরি জিন পিসানি, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ফিসকাল অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর ভিটর গ্যাসপার এবং এশিয়া ও প্যাসিফিক ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর কৃষ্ণ শ্রীনিবাসন প্রমুখ। জিন পিসানি অবশ্য ভার্চুয়াল মাধ্যমে সেমিনারে যোগ দেন।