শ্রীনগর: জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে বসবে জি২০ সম্মেলনের পর্যটন সংক্রান্ত বৈঠক। আগামী ২২ থেকে ২৪ মে পর্যন্ত চলবে এই বৈঠক। জি২০ অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির প্রতিনিধির হাজির হবেন সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য। সেই বৈঠক ঘিরেই জঙ্গি হামলার আশঙ্কা আরও জোরালো হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, ডি ২০ সম্মেলনের বৈঠক ঘিরে জম্মু ও কাশ্মীরে হামলা চালাতে পারে জঙ্গিরা। শ্রীগনরেও জঙ্গিরা হামলা চালাতে পারে বলে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে গোয়েন্দাদের তরফে। সে জন্য ইতিমধ্যেই শ্রীগনের নিরাপত্তা কয়েক গুণ বাড়ানো হয়েছে। ওই বৈঠকের সয়ম সেই নিরাপত্তা আরও কয়েক গুণ বাড়ানো হবে বলে সূত্রে মারফত জানা গিয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীর ভাগ হওয়া এবং ৩৭০ নম্বর ধারা অবলুপ্তির পর এই প্রথম কোনও আন্তর্জাতিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে কাশ্মীরে। যদিও কাশ্মীরে এই বৈঠকের বিরোধিতা করেছে পাকিস্তান ও চিন। জি২০ অন্তর্ভুক্ত দেশগুলিকে চিঠি লিখে ওই বৈঠক বয়কটের ডাক দিয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু চিন, পাকিস্তানের আপত্তি উড়িয়ে কাশ্মীরে জি২০ সম্মেলনের পর্যটন বৈঠকের সূচি ঘোষণা করেছে ভারত।
এ মাসেই জম্মু ও কাশ্মীরে বসতে চলেছে জি২০ সম্মেলনের আসর। সেই সম্মেলনে জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় রয়েছে। সরকারি ভবন, সেনা জওয়ানের উপর জঙ্গিরা হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। গোয়েন্দা সূত্রে জানানো হয়েছে, শ্রীনগরে হামলা চালানোর উদ্দেশে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ঢোকার চেষ্টা চালাবে লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গিরা। পুঞ্চ ও রাজৌরি সেক্টর দিয়ে জঙ্গিরা কাশ্মীরে ঢোকার চেষ্টা করতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। কাশ্মীরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সামনে এই পরিস্থিতি তুলে ধরতেই সেনা জওয়ান ও সরকারি ভবনে জঙ্গিরা হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
সূত্র বলেছে, “লস্কর-ই-তৈবার প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত জঙ্গিরা (এর মধ্যে আত্মঘাতী জঙ্গিও রয়েছে) হামলা চালাতে পারে। পাক সেনার মদতেই নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে কাশ্মীরে ঢোকার চেষ্টা চালাচ্ছে জঙ্গিরা। এ নিয়ে সীমান্তে নিরাপত্তা আরও আঁটোসাঁটো করা হয়েছে।” প্রসঙ্গত, গত কয়েক সপ্তাহে কাশ্মীরের বিভিন্ন প্রান্তে বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। সেই সব ঘটনায় বেশ কয়েক জন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। পুঞ্চে সেনার কনভয়ে হামলায় ৫ জওয়ানের মৃত্যু হয় ২০ এপ্রিল। সম্প্রতি রাজৌরি সেক্টরের কান্দি জঙ্গল এলাকায় জঙ্গি দমনে নেমেছিল নিরাপত্তা বাহিনী। সে সময় জঙ্গিদের ঘটানো বিস্ফোরণে পাঁচ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল।