G20 Declaration: সর্বসম্মতিতে গৃহীত নয়াদিল্লির জি-২০ ঘোষণাপত্র, রাশিয়ার নাম না নিয়ে ইউক্রেনে শান্তি ফেরানোর বার্তা

TV9 Bangla Digital | Edited By: অংশুমান গোস্বামী

Sep 09, 2023 | 6:41 PM

ভারতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনের ঘোষণাপত্রে উল্লেখিত হয়েছে একাধিক বিষয়। সেখানে যেমন ‘সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট’-এর বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। সেই সঙ্গে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের বিষয়টি নিয়েও বেশ কিছু লক্ষ্যের কথা বলা হয়েছে। এই কাজে উন্নয়নশীল দেশগুলিকে সাহায্যের কথাও বলা হয়েছে।

G20 Declaration: সর্বসম্মতিতে গৃহীত নয়াদিল্লির জি-২০ ঘোষণাপত্র, রাশিয়ার নাম না নিয়ে ইউক্রেনে শান্তি ফেরানোর বার্তা
জি২০ সম্মেলনে মোদী।
Image Credit source: PTI

Follow Us

নয়াদিল্লি: জি-২০ গোষ্ঠীর সদস্যদের সর্বসম্মতিতে গৃহীত হয়েছে ‘নয়াদিল্লি ঘোষণাপত্র’। শনিবার এ কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নয়াদিল্লির প্রস্তাব সর্বসম্মতি গৃহীত হওয়া বড় জয় হিসাবেই দেখছে কূটনৈতিক মহল। ঘোষণাপত্রের সর্বসম্মতির বিষয়ে মোদী বলেছেন, “একটা ভাল খবর আছে। আমাদের দলের কঠিন পরিশ্রম এবং সকলের সাহায্যে নয়াদিল্লির জি-২০ নেতাদের সম্মেলনের ঘোষণা সর্বসম্মত হয়েছে।” তিনি আরও বলেছেন, “আমার অনুরোধ জি-২০-র নেতারা সম্মেলনের ঘোষণা গ্রহণ করবেন। এই কাজকে সম্ভব করার জন্য আমি সব মন্ত্রী এবং শেরপাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।”

ভারতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনের ঘোষণাপত্রে উল্লেখিত হয়েছে একাধিক বিষয়। সেখানে যেমন ‘সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট’-এর বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। সেই সঙ্গে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের বিষয়টি নিয়েও বেশ কিছু লক্ষ্যের কথা বলা হয়েছে। এই কাজে উন্নয়নশীল দেশগুলিকে সাহায্যের কথাও বলা হয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টিও গুরুত্ব পেয়েছে এই ঘোষণাপত্রে। এই ঘোষণাপত্রে রাশিয়ার নাম না নিয়েও ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গের উল্লেখ করা হয়েছে।

ইউক্রেনে শান্তিপ্রতিষ্ঠার বিষয়টি যেমন গুরুত্ব পেয়েছে, তেমনই সীমান্ত দখল করার জন্য শক্তিপ্রয়োগ থেকে বিরত থাকার বার্তাও রয়েছে। পারমাণবিক শক্তির ব্যবহার বা তা ব্যবহারের হুমকি দেওয়াকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে উল্লেখিত হয়েছে। এই বিষয়ে ঘোষণাপত্রে লেখা হয়েছে, “আমরা সমস্ত রাষ্ট্রকে আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্ব, আন্তর্জাতিক মানবিক আইন এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষাকারী বহুপাক্ষিক ব্যবস্থা সহ আন্তর্জাতিক আইনের নীতিগুলি বজায় রাখার আহ্বান জানাই৷ সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান, এবং সংকট মোকাবিলার প্রচেষ্টার পাশাপাশি কূটনীতি ও সংলাপ গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব অর্থনীতিতে যুদ্ধের বিরূপ প্রভাবের মোকাবিলা করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ‘এক পৃথিবী, একটি পরিবার, একটি ভবিষ্যৎ’-এর চেতনায় দেশগুলির মধ্যে শান্তিপূর্ণ, বন্ধুত্বপূর্ণ এবং প্রতিবেশীর সঙ্গে ভাল সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে।”

Next Article