নয়া দিল্লি: মোদী জমানায় সামরিক দিক থেকে আরও বেশি শক্তিশালী হয়েছে ভারত। আত্মনির্ভর হয়েছে। প্রতিরক্ষায় দেওয়া হয়েছে বাড়তি নজর। ভারতের তিন বাহিনী এখন বুঝিয়ে দিয়েছে, ভারতের দিকে কু-নজর কিংবা কোনওরকম ট্যাঁ ফোঁ আর বরদাস্ত হবে না। সার্জিকাল স্ট্রাইক, এয়ার স্ট্রাইক… তার জ্বলন্ত উদাহরণ। আর এবার ১ এপ্রিল থেকেই আরও এক বিরাট কর্মযজ্ঞ শুরু করে দিচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনা। শুরু হচ্ছে গগণশক্তি-২০২৪। দশ দিন ব্যাপী এই সামরিক মহড়ায় হবে ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তি প্রদর্শন। একইসঙ্গে পাকিস্তান বা চিনের দিক থেকে কোনওরকম সম্ভব্য আক্রমণের পাল্টা দেওয়ার প্রস্তুতিও সেরে নেওয়া হবে এই দশ দিনে।
এখানে উল্লেখ করে রাখা প্রয়োজন, অপারেশন বালাকোট ও তার পর পাকিস্তানি বায়ুসেনার সঙ্গে সংঘাতের পর ভারত নিজেকে আরও শক্তিশালী করেছে। ভারতীয় বায়ুসেনার রণসজ্জা এখন সজ্জিত রয়েছে অত্যাধুনিক অস্ত্রসজ্জায়। এর মধ্যে রয়েছে বায়ুসেনার বাজপাখি রাফাল যুদ্ধবিমান, প্রচণ্ডের মতো লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার, সি-২৯৫ এর মতো ট্র্যান্সপোর্ট বিমান। এখন সুখোই যুদ্ধবিমানের সঙ্গে রয়েছে ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ় মিসাইল। কী নেই ভারতের হাতে! আর এইসব মিলিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তি এখন যে কোনও দেশের কাছেই ঈর্ষনীয়।
প্রসঙ্গত, চিনের সঙ্গে ভারতের বর্তমান সম্পর্ক ও গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পর ভারতের সামরিক শক্তির গুরুত্ব আরও বেড়েছে। দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে বায়ুসেনার কুইক রেসপন্সের উপর আরও বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। এমন অবস্থায় দশ দিন ধরে ভারতীয় বায়ুসেনার এই সামরিক মহড়া দেশের শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রতিফলন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।