AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Crime: পুলিশকে সাদ্দাম বললেন, ‘চলুন, দেখাচ্ছি কোন ঝোপে আমার স্ত্রী রয়েছে’

Crime News: থানায় গিয়ে অভিযুক্ত সাদ্দাম বলেন, "আমি আমার স্ত্রীকে খুন করেছি। আমার সঙ্গে আসুন, দেখাচ্ছি দেহ কোথায় রাখা আছে"।

Crime: পুলিশকে সাদ্দাম বললেন, ‘চলুন, দেখাচ্ছি কোন ঝোপে আমার স্ত্রী রয়েছে’
প্রতীকী চিত্র
| Edited By: | Updated on: Nov 13, 2022 | 2:03 PM
Share

লখনউ: কর্মসূত্রে বাড়ির বাইরেই থাকতে হয় অধিকাংশ সময়। বাড়িতে একা থাকে স্ত্রী। ফোন করলেও অধিকাংশ সময়ই পাওয়া যায় না, অন্য কারোর সঙ্গে ফোনে কথা বলে সর্বদা। মনে সন্দেহ বাসা বেঁধেছিল সেই সময় থেকেই, স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেও সদুত্তর মেলেনি। শেষে রাগের বশে স্ত্রীকে খুনই করে ফেললেন স্বামী। দেহ লোপাট করতে পাশের ঝোপে ফেলে দেন। কিন্তু মনে শান্তি মিলছিল না কিছুতেই। সোজা পুলিশর্কতার অফিসেই হাজির হলেন তাই, বললেন, “চলুন আমি দেখাচ্ছি কোথায় স্ত্রী রয়েছে…”। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লি সংলগ্ন উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে (Ghaziabad)। ইতিমধ্যে ওই ব্যক্তিকে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গাজিয়াবাদের ট্রনিকা সিটি থেকে এক ২৮ বছর বয়সী যুবতীর দেহ উদ্ধার করা হয় বৃহস্পতিবার। ওই যুবতীর স্বামীই খুনের দায়স্বীকার করে নেন। তিনি জানান, স্ত্রীকে খুনের পর অপরাধবোধ কাজ করছিল মনে। সেই কারণেই তিনি পুলিশের সিনিয়র সুপারিন্টেন্ডেন্টের কাছে যান এবং সেখানে গিয়ে জানান স্ত্রীকে খুন করেছেন। কোথায় দেহ ফেলে দিয়েছেন, সঙ্গে গেলে তাও দেখিয়ে দেবেন বলেই জানান।

জানা গিয়েছে, থানায় গিয়ে অভিযুক্ত সাদ্দাম বলেন, “আমি আমার স্ত্রীকে খুন করেছি। আমার সঙ্গে আসুন, দেখাচ্ছি দেহ কোথায় রাখা আছে”। এরপরই পুলিশ তাঁর সঙ্গে যান এবং অভিযুক্তের দেখানো একটি জনশূন্য স্থান থেকে যুবতীর দেহ উদ্ধার করেন। জেরায় জানা গিয়েছে, সাদ্দাম তাঁর স্ত্রীকে সন্দেহ করত। তার অবর্তমানে স্ত্রী পরকীয়া করছে বলেই সন্দেহ ছিল তাঁর। এই বিষয় নিয়ে একাধিকবার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসাও হয়। কিন্তু কখনওই কোনও প্রমাণ পাননি সাদ্দাম।

বৃহস্পতিবারও একই ঘটনা ঘটে। তবে এবার বচসা না করে সাদ্দাম তাঁর স্ত্রীকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার অছিলায় বাড়ির বাইরে নিয়ে যায়। ট্রনিকা শহরের শেষ প্রান্তে একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে, পিছন থেকে স্ত্রীর মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে। স্ত্রীর মৃত্যুর পর তাঁর দেহ পাশের একটি ঝোপে ফেলে দেন।

দেহ ওখানেই ফেলে বাড়ি চলে আসছিলেন, কিন্তু মাঝপথেই সিদ্ধান্ত বদল করেন অভিযুক্ত সাদ্দাম। সোজা হাজির হন এসএসপির অফিসে। সেখানে গিয়ে সমস্ত অপরাধের কথা স্বীকার করে নেন তিনি। খুনের ঘটনায় অভিযুক্তের সঙ্গে আরও কেউ মদত দিয়েছিলেন কি না, তা জানার চেষ্টা চলছে।