নয়া দিল্লি: ধাক্কা খেল কংগ্রেস। দলের প্রবীণ নেতা গুলাম নবি আজ়াদকে (Ghulam Nabi Azad) জম্মু ও কাশ্মীরে কংগ্রেসের প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান করেছিল দল। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করলেন তিনি। একইসঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরে কংগ্রেসের পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্যও আর রইলেন না তিনি। সূত্রের খবর, তাঁকে জম্মু ও কাশ্মীরের পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য করা ভাল ভাবে নেননি আজ়াদ। কারণ, তিনি কংগ্রেসের সর্বভারতীয় পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য।
গুলাম নবি আজ়াদ জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও ছিলেন। দলের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব সামলেছেন। রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, নেতৃত্বে বদল চেয়ে সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লেখার পর থেকে কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে আজ়াদের। ২৩ জন নেতা ২০২০ সালের অগস্টে ওই চিঠি লিখেছিলেন। সেইসময় ওই চিঠির বিরোধিতা করে কংগ্রেসের অনেক নেতা সরব হন।
গত মাসে আজ়াদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী গুলাম আহমেদ মীরকে জম্মু ও কাশ্মীরের কংগ্রেস প্রধানের পদ থেকে সরানো হয়। তাঁর জায়গায় বিকার রসুন ওয়ানিকে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করা হয়। একইসঙ্গে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি প্রচার কমিটি, পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স কমিটি, সমন্বয় কমিটি-সহ একাধিক কমিটি গঠন করেন। সেখানেই প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান করা হয় আজ়াদকে। কিন্তু, তিনি পদত্যাগ করায় কংগ্রেস অস্বস্তিতে পড়ল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
জম্মু ও কাশ্মীরের ডিলিমিটেশন প্রক্রিয়া শেষ হলে ভোট হওয়ার কথা। তবে তা এ বছর না হওয়ারই সম্ভাবনা বেশি। তবে নির্বাচন কমিশন এ বছরের ২৫ নভেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা ঘোষণার কথা বলেছে।