Giriraj Singh: মমতার দিল্লি সফরের মাঝেই পঞ্চায়েত মন্ত্রীকে ফোন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর, বকেয়া মেটানোর আশ্বাস

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Dec 07, 2022 | 7:10 PM

Giriraj Singh: কিছুদিন আগেই দিল্লিতে গিয়ে গিরিরাজের সঙ্গে দেখা করেছিলেন প্রদীপ মজুমদার। দাবি দাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী।

Giriraj Singh: মমতার দিল্লি সফরের মাঝেই পঞ্চায়েত মন্ত্রীকে ফোন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর, বকেয়া মেটানোর আশ্বাস

Follow Us

নয়া দিল্লি: ১০০ দিনের বকেয়া টাকা নিয়ে রাজ্য সরকারের দীর্ঘদিন ধরে দাবি ছিল কেন্দ্রের কাছে। টাকা দেওয়া হচ্ছে না বলে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বারবার সুর চড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই সেই জট কাটার ইঙ্গিত মিলল। মমতা যখন দিল্লিতে, তখনই রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারকে ফোন করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং (Giriraj Singh)। ১০০ দিনের টাকা দ্রুত মেটানোর আশ্বাস দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।

এদিন রাজধানীতে দলীয় সাংসদদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তার আগেই গিরিরাজ সিং-এর এই ফোন এসেছিল প্রদীপ মজুমদারের কাছে। কিছুদিন আগেই দিল্লিতে গিয়ে গিরিরাজের সঙ্গে দেখা করেছিলেন প্রদীপ মজুমদার। দাবি দাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী। সমস্যা যে মিটতে চলেছে, সে ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন প্রদীপ মজুমদার। শুধু বকেয়া নিয়ে আলোচনা নয়, বাংলায় সম্ভাব্য কী কী বাণিজ্য হতে পারে, তা নিয়েও আলোচনা করেছিলেন তাঁরা। এবার সেই বৈঠকের ফলই মিলতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিজেপি বিভিন্ন সময় দাবি করেছে, ১০০ দিনের কাজের ক্ষেত্রে বিভিন্ন নিয়ম মানা হচ্ছে না। এবার টাকা মেটানোর ক্ষেত্রে কেন্দ্র সে সব নিয়মের দিকে নজর দিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এদিন ফোন করার পর তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ১০০ দিনের কাজে বাংলা প্রথম। অথচ নিছক রাজনৈতিক স্বার্থেই ৬ থেকে ৭০০০ কোটি টাকা আটকে রাখা হয়েছে। তাঁর দাবি, প্রতি বছর বিভিন্ন কর বা জিএসটি বাবদ রাজ্য থেকে ৭০-৭৫ হাজার কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্র। তার থেকেই মেটানো হচ্ছে এই পাওয়া টাকা। ১০০ দিনের টাকা যদি দেওয়া হয়, তাহলে কেন্দ্রকে সাধুবাদ জানাবেন বলে উল্লেখ করেন শান্তনু।

তবে কেন্দ্রের এই পদক্ষেপে সন্তুষ্ট নন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। এদিন বৈঠক শেষে আক্ষেপের সুরে তিনি বলেন, ‘টাকা আসতে দু-বছর লেগে গেল!’ একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অর্থবর্ষ শেষ হওয়ার দু-মাস আগে যদি টাকা ঢোকে, তাহলে সেটি কাজে লাগানো যায় না। বছরের শেষে যেন ভিক্ষা দিচ্ছে।’ তিনি জানান, ডিপিআর, টেন্ডার করতে সময় লাগে। সময়ের মধ্যে টাকা না দিলে কেন্দ্র বলতে পারে, টাকার ব্যবহার হয়নি।

Next Article