নয়া দিল্লি: সদ্য় মহারাষ্ট্রে একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে সরকার গঠন করেছে বিজেপি। আর অন্যদিকে, বিহারের ছবিটা ঠিক বিপরীত। বিজেপিকে বাদ দিয়ে সরকার গঠন করতে তৎপর নীতীশ কুমার। সম্পর্কে যে ছেদ পড়ছিল, সে ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। আর এবার জোট সরকার ভেঙে ইস্তফা দিলেন নীতীশ কুমার। তাঁকে বোঝানোর চেষ্টায় অবশ্য খামতি রাখেনি বিজেপি। তারপরও যখন নীতীশ কুমার এমন একটি সিদ্ধান্ত নিলেন, তখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং মনে করিয়ে দিলেন, বিজেপি সবসময় জোট রাজনীতির আদর্শ মেনে চলে।
মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিলেন জেডিইউ সুপ্রিমো নীতীশ কুমার। এরপরই জোট রাজনীতীর কথা বললেন গিরিরাজ সিং। এনডিটিভি-র মুখোমুখি হয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, সিদ্ধান্তটা নীতীশ কুমারের। তবে, আমরা সবসময় জোট রাজনীতির ধর্ম অনুসরণ করেছি। জোটকে মর্যাদা দিয়েছি। তিনি আরও উল্লেখ করেন, বিজেপির হাতে ছিল ৬৩ জন বিধায়ক আর জেডিইউ-র কাছে ছিল ৩৬ জন। তারপরও নীতীশ কুমারকে মুখ্যমন্ত্রী পদ দেওয়া হয়েছিল।
নীতীশ কুমার বেসুরো বুঝতে পেরেই গত কয়েকদিনে তৎপর হয় বিজেপি। সোমবার পরপর দুবার নীতীশের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছিল বিজেপি। নীতীশকে ফোন করেছিলেন খোদ অমিত শাহ। তাঁদের মধ্যে কথা হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। কী কথা হয়েছিল, তা প্রকাশ্যে না এলেও, এটুকু বোঝাই যাচ্ছে যে সিদ্ধান্ত থেকে নীতীশকে সরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি। শুধু ফোনই নয়, বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা গিয়েছিলেন নীতীশ কুমারের বাড়িতেও।
নীতীশের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, মহারাষ্ট্রে বিজেপি যা করেছে, তা ভালভাবে নেননি নীতীশ কুমার। উদ্ধব ঠাকরের সরকারকে ফেলে দেওয়ার ঘটনা নাকি অস্বস্তি বাড়িয়েছিল নীতীশ কুমারের। সেই সঙ্গে তাঁর উদ্বেগের কারণ ছিল অমিত শাহের প্রভাব। তাঁর ধারনা ছিল, নীতীসের মন্ত্রিসভায় ঘনিষ্ঠ লোকজনকে বসিয়ে আদতে অমিত শাহ সরকার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছিলেন। এ সব সমীকরণ থেকেই দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। শেষ পর্যন্ত বিজেপির হাত ছাড়ার সিদ্ধান্তই নিলেন নীতীশ কুমার।