পটনা: বিহারের ভোজপুর (Bihar) জেলায় ১২ বছর বয়সী এক নাবালককে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। স্কুলের এক ছাত্রীর দাদার বিরুদ্ধে ওই নাবালককে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। স্কুলের ষাণ্মাসিক পরীক্ষার দেওয়ার সময় একটি কাগজের টুকরো স্কুল ছাত্রীর বেঞ্চের সামনে পড়েছিল। ওই স্কুল ছাত্রীকে প্রেমপত্র ভেবে ভুল করে। সোমবার রেললাইনের সামনে থেকে নিহত ছাত্রের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, এই খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় নিহত দয়া কুমার উদান্তনগর থানা এলাকার বাসিন্দা। সে ও তাঁর দিদি একই স্কুলে পড়ত। ১৩ অক্টোবর ষাণ্মাসিক পরীক্ষার সময় দিদিকে সাহায্য করার জন্য টুকলিপত্র ছুড়ে দিয়েছিল ষষ্ঠ শ্রেণির ওই স্কুল পড়ুয়া।
গজরাজগঞ্জ আউটপোস্ট ইনচার্জ চন্দন কুমার বুধবার টাইমস অব ইন্ডিয়াকে এই খুনের ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, “পরীক্ষা শুরু হতে দিদিকে সাহায্য করার উদ্দেশ্য নিয়ে তাঁর দিকে টুকলিপত্র ছুড়ে দিয়ে নিহত নাবালক। কিন্তু ভুলবশত সেটি স্কুলের অন্য আরেক ছাত্রীর বেঞ্চের সামনে গিয়ে পড়েছিল এবং সেই মেয়েটিকে কাগজের টুকরোটিকে প্রেমপত্র ভেবে ভুল করে এবং নিজের ভাইদের ঘটনার কথা জানায়।”
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার কথা জানতে পেরে ওই স্কুলছাত্রীর দাদারা স্কুলে এসে ওই নাবালককে ব্যাপক মারধর করে এবং তাঁকে সেখান থেকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনার ৪ দিন পর রেললাইন থেকে তাঁর দেহের অংশ উদ্ধার হয়। ধৃতদের মধ্যে ৪ জন নাবালক এবং তাদের জুভেনাইল হোমে পাঠানো হয়েছে। প্রাপ্ত বয়স্কদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।