নয়াদিল্লি: থেমেও যেন থামে না। একুশ সালে কৃষকদের কাছে তিন কৃষি আইন নিয়ে ক্ষমা চেয়েছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কথা দিয়েছিলেন তাদের সকল দাবি মেনে নেবে সরকার। তারপর দিল্লি সীমানা থেকে নিজের ঘরে ফিরে গিয়েছিল শতাধিক কৃষক। কিন্তু সেই ঘটনার বছরপূর্তি হতেই আবার চড়েছিল ক্ষোভ।
মূলত ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে-সহ কৃষিঋণ মকুব, পেনশনের ব্যবস্থা এবং বিদ্যুৎ বিল না-বাড়ানোর মতো বেশ কয়েকটি দাবি নিয়ে গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে দিল্লি সংলগ্ন পঞ্জাব এবং হরিয়ানার শম্ভু ও খানাউড়ি সীমানায় অবস্থানে বসে কৃষকেরা। ফের একবার দিল্লি অভিযান চালায় তারা। কিন্তু পুলিশি ধাক্কা খেয়ে সীমানাতেই আন্দোলনে বসেন কৃষকরা।
শুক্রবার সেই আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গেই চণ্ডিগড়ে মুখোমুখি আলোচনায় বসলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। এই বৈঠকের বিষয়ে আগেই আভাস দিয়েছিল কেন্দ্র। গতকাল অবশেষে হল সাক্ষাৎ। পরিস্থিতি পর্যালোচনার পর এই আন্দোলনের অন্যতম কৃষকনেতা জগজিৎ সিংহ ডাল্লেওয়াল, যিনি গত কয়েক মাস ধরেই অনশনরত, তাঁর সঙ্গেও দেখা করেন মন্ত্রী।
VIDEO | After his meeting with farmers in Chandigarh, Union Minister Pralhad Joshi (@JoshiPralhad) said, “Today, we, along with the Punjab government, had a meeting with farmers of Samyukt Kisan Morcha (Non Political) and Kisan Mazdoor Morcha. Discussions were held in a very… pic.twitter.com/mULCkANPXR
— Press Trust of India (@PTI_News) February 14, 2025
বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, ‘পঞ্জাব সরকারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগেই সংযুক্ত কিষান মোর্চা ও কিষাণ মজদুর মোর্চার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দেখা করি আমরা। আলোচনা ইতিবাচক দিকেই গিয়েছে বলা চলে। তাদের দাবি-দাওয়া শুনেছি আমরা। সেই ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কৃষকদের জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সেই বিষয়টি আমরা জানিয়েছি তাঁদের।’
কৃষকনেতা জগজিৎ সিংহ ডাল্লেওয়ালকেও তাঁর দিনের পর দিন চালানো অনশন ভাঙার আর্জি করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। পাশাপাশি, আগামী ২২ তারিখও কৃষকদের সঙ্গে সমঝোতায় আরও একটি বৈঠক হবে বলেও আগাম জানান তিনি।