নয়াদিল্লি: সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলির বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ আসে তা খতিয়ে দেখার জন্য একটি কমিটি গড়ার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। অভিযোগ দায়ের হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে বিষয়টি খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে ওই কমিটি। সেই কমিটির সিদ্ধান্ত মানতে হবে বৃহৎ সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলিকে। ইনফরমেশন টেকনোলজি (ইন্টারমিডিয়ারি গাইডলাইন অ্যান্ড ডিজিটাল মিডিয়া এথিক্স) রুলস, ২০২১ অনুসারে কমিটির সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য থাকবে সংস্থাগুলি। কেন্দ্রের এই কমিটি গড়ার সিদ্ধান্ত বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের করা পদক্ষেপকে চ্য়ালেঞ্জ জানাতে পারে। যেমন, তারকা সহ বিভিন্ন ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা, ব্লক করা বা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘনের কারণে ব্যবস্থা গ্রহণ করে ফেসবুক, টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা। ওই সব সংস্থার সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন জানানো যাবে এই কমিটিতে।
একটি বিজ্ঞপ্তিতে ইলেক্ট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, “কেন্দ্রীয় সরকার এক বা একাধিক গ্রাভিয়েন্স অ্যাপিলেট কমিটি গড়বে। যাতে এক জন চেয়ারপার্সন ও কয়েক জন সদস্য থাকবে। কেন্দ্রের অফিসাল গেজেটে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সেই সদস্যদের নিয়োগ করবে।” সেই বিজ্ঞপ্তিতে আরও লেখা রয়েছে, “গ্রাভিয়েন্স অ্যাপিলেট কমিটি অভিযোগ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। কমিটির প্রতিটি সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট মধ্যস্থতাকারীদের মেনে চলতে হবে।”
ফেসবুক, টুইটার সব বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের জন্য নতুন আইন আনে কেন্দ্র। ২০২১ সালের ২৬ মে থেকে সেই আইন বলবৎ হয়। যে সকল সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থার ৫০ লক্ষ বা তার বেশি গ্রাহক আছে। তাদের এক জন করে গ্রাভিয়েন্স অফিসার নিয়োগ করা বাধ্যতামূলক করে সরকার। সেই অফিসারকে ভারতীয় হতে হবে বলে নিয়ম তৈরি করে দেয়।
সেই মতো এখন কেন্দ্রকে রিপোর্ট পাঠায় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি। যেমন, এপ্রিল মাসে মোবাইলে মেসেজ পাঠানোর মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছিল, ১৬ লাখেরও বেশি ভারতীয় অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিকর কাজকর্ম রুখতেই এই কাজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ওই সংস্থা। একই রকম ভাবে মেটা রিপোর্টে জানিয়েছে, ফেসবুকে ঘৃ্ণা বার্তার চালাচালি আগের থেকে বেড়েছে।