তাওয়াং: বছর শেষে যুদ্ধ আবহ সীমান্তে। অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) তাওয়াং (Tawang) দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়েছে লাল ফৌজ (Chinese Army)। পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনাও (Indian Army)। লাঠিপেটা করে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে লাল ফৌজকে। তবে অতীতের উদাহরণ বলছে, চিন একবার হামলা চালিয়েই থামবে না। ফের হামলা চালাতে পারে চিন। সেই কারণেই সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।লাগাতার মহড়া চালাচ্ছে ভারতীয় সেনা। সীমান্তে দাঁড়িয়ে রয়েছে ভারতীয় সেনার প্রচুর সংখ্যক গাড়ি। আঁটোসাটো নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি জওয়ানও। বেস ক্যাম্পে রয়েছে হেলিপ্যাডও। এক কথায়, চিনকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে নারাজ ভারত।
চারদিক থেকে পাহাড়ে ঘেরা সেলা বেস ক্যাম্প। এই বেস ক্যাম্পই অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ স্ট্র্যাটেজিক পয়েন্ট। গত ৯ ডিসেম্বর চিনের হামলার পর থেকেই নিরাপত্তা বাড়াতে বাড়তি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে এই সেলা বেস ক্যাম্পে। সেখানেই চলছে শত্রুর সঙ্গে মোকাবিলা করার প্রস্তুতি।
শীতের মরশুমে তাওয়াংয়ের বেস ক্যাম্পের পাশের লেকে জমে রয়েছে বরফ। মাঝেমাঝেই তুষারপাতও হচ্ছে। মায়াবী আবহাওয়া সত্ত্বেও খাঁখাঁ করছে তাওয়াং। অন্যান্য় বছর এই সময়ে পর্যটক থিকথিক করলেও, যুদ্ধের আবহে কার্যত পর্যটকশূন্য তাওয়াং। যারা অরুণাচল প্রদেশ ঘুরতে গিয়েছিলেন, তারাও তড়িঘড়ি ফিরে এসেছেন। বর্তমানে তাওয়াং জুড়ে শুধুই সেনাবাহিনীর গাড়ির আনাগোনা। অন্য কোনও গাড়িকে প্রবেশের অনুমতিও দেওয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে বুমলাতেও স্থানীয় বাসিন্দাদের এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া অবধি তারা যেন বুমলায় না আসেন, সেই নির্দেশই দেওয়া হয়েছে।
দুর্গম এই পার্বত্য অঞ্চলকে পাখির চোখ বানিয়েছে চিন। তাওয়াংয়ের ভৌগলিক অবস্থানের জন্যই বহু বছর ধরে লাল ফৌজের নজর রয়েছে অরুণাচল প্রদেশের এই অঞ্চলে। তাওয়াং থেকে সহজেই নজরদারি রাখা যায় উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম তিব্বতে। নজরে ভুটান সীমান্তও। সেই কারণেই বেজিংয়ের ধারণা, যদি তারা তাওয়াং দখল করতে পারে, তবে গোটা উত্তর-পূর্বের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে চলে আসবে। সেই কারণেই গত ৯ ডিসেম্বর রাতের অন্ধকারে তাওয়াং দিয়ে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করেছিল চিন। সেনাবাহিনীর আশঙ্কা, ফের হামলা চালানোর চেষ্টা করতে পারে চিন। সেই কারণে অরুণাচল প্রদেশে বাড়ানো হয়েছে সেনা প্রহরা। আকাশে টহল দিচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানও।