নয়া দিল্লি: বছরের শেষেই গুজরাটের নির্বাচন। তার মাত্র কয়েক মাস আগে জোর ধাক্কা খেল কংগ্রেস। শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর), প্রদেশ কংগ্রেসের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তথা বিধায়ক জিগনেশ মেবানিকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিল আহমেদাবাদের এক আদালত। শুধু তাঁকেই নয়, তাঁর ১৮ জন সহযোগীকেও একই সাজা দেওয়া হয়েছে। ২০১৬ সালে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ভবনের নামকরণ বিআর আম্বেদকরের নামে করার দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন জিগনেশ ও তাঁর অনুগামীরা। তাদের বিরুদ্ধে বেআইনি সমাবেশ এবং দাঙ্গা-হাঙ্গামা করার অভিযোগ ছিল।
২০১৬ সালে যখন গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ভবনটি তৈরি হচ্ছিল, সেই সময়ই ভবনটির নামকরণ বিআর আম্বেকরের নামে করার দাবি তুলেছিলেন জিগনেশ ও তাঁর অনুগামীরা। এর জন্য রাস্তা অবরোধ করে বড় আন্দোলনের পথে গিয়েছিলেন তারা। তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই সময় জিগনেশ-সহ মোট ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বিতার চলাকালীন এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। এদিন বাকিদের ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে জিগনেশ এবং অন্যান্যদের জরিমানাও করেছেন অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পি এন গোস্বামী।
তবে, আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করার সুযোগ রয়েছে জিগনেশদের সামনে। রায়ের বিরুদ্ধে তাদের আবেদন করার সময় দেওয়ার জন্যই, কারাদণ্ডের সাজা ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত রেখেছেন বিচারক। দলিত নেতা হিসেবেই রাজনীতির ময়দানে উত্থান ঘটেছিল জিগনেশ মেবানির। ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি কংগ্রেসের সমর্থনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন। পরবর্তীকালে কংগ্রেস দলে যোগ দেন। সম্প্রতি, হার্দিক প্যাটেল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর, প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাঁকে।
চলতি সপ্তাহের শুরুতেই, আহমেদাবাদে একটি জনসভা চলাকালীন হামলা হয়েছিল জিগনেশ মেবানির উপর। জিগনেশ মেবানি ছাড়াও সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন তফসিলি জাতি বিভাগের চেয়ারম্যান হিতেন্দ্র পিথাদিয়া। পরে, জিগনেশ মেবানি টুইট করে দাবি করেছিলেন, রাজ্যের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ সিং জাদেজার মদতপুষ্ট গুণ্ডা বাহিনীই ওই হামলা চালিয়েছিল।