নয়া দিল্লি: গোটা দেশের নজর ছিল মোদী-শাহের রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের দিকে। গুজরাট নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যেই উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করেছিল। মনে করা হচ্ছিল এ বছর ডিসেম্বরেই গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত (Gujarat Legislative Election 2022) হতে পারে। এবার সেই জল্পনাই সত্যি হল। ডিসেম্বরের প্রথম ভাগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে গুজরাটে। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলন করে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। সেই সাংবাদিক সম্মেলন থেকেই ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করলেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রাজীব কুমার (Rajiv Kumar)। তিনি জানিয়েছেন, মোট দুই দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে গুজরাটে।
প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হবে ১ ডিসেম্বর। দ্বিতীয় দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ ডিসেম্বর। আর ফলাফল প্রকাশ হবে ৮ ডিসেম্বর। রাজীব কুমার জানিয়েছেন, গুজরাট ও হিমাচল প্রদেশের ভোটগণনা একই দিনে হবে। প্রসঙ্গত, ভোটমুখী গুজরাটে কয়েকদিন আগেই বড় বিপর্যয় ঘটেছে। এখনও সেই ঘটনার শোক কাটিয়ে উঠতে পারেনি দেশবাসী। এই আবহেই এই নির্ঘণ্ট ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের। তাই সাংবাদিক সম্মেলনের শুরুতেই এই ঘটনায় মৃতদের প্রতি শোক জ্ঞাপন করে নিজের বক্তব্য শুরু করেন।
জাতীয় নির্বাচন কমিশনের শিডিউল অনুযায়ী, ৫ নভেম্বর গেজ়েট বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। গুজরাট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষদিন ১৪ নভেম্বর। এবং ১৭ নভেম্বর অবধি মনোনয়ন প্রত্য়াহার করতে পারবেন প্রার্থীরা। এদিকে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন দেরি করে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছিল। সেই অভিযোগ খারিজ করে রাজীব কুমার বলেছেন, আগামী বছর ১৮ ফেব্রুয়ারি বর্তমান বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। আবহাওয়া সহ একাধিক বিষয়ে খতিয়ে দেখিয়েই নির্বাচনের দিন স্থির করা হয়েছে। ইভিএম কারচুপির বিষয়েও এদিন মুখ খুলেছেন মুখ্য নির্বাচবনী আধিকারিক। তিনি বলেছেন, ‘কাজ ও তার ফলাফল শব্দের থেকে বেশি কথা বলে। অনেক সময় কমিশনের সমালোচনাকারী দলগুলো নির্বাচনে চমকপ্রদ ফলাফল পেয়েছে। কেউ কেউ ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তবে সেই একই ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচনে যখন তাঁরা নির্বাচনে যেতেন তখন তাঁরা চুপ থাকেন।’
ইভিএম কারচুপির বিষয়েও এদিন মুখ খুলেছেন মুখ্য নির্বাচবনী আধিকারিক। তিনি বলেছেন, ‘কাজ ও তার ফলাফল শব্দের থেকে বেশি কথা বলে। অনেক সময় কমিশনের সমালোচনাকারী দলগুলো নির্বাচনে চমকপ্রদ ফলাফল পেয়েছে। কেউ কেউ ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তবে সেই একই ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচনে যখন তাঁরা নির্বাচনে যেতেন তখন তাঁরা চুপ থাকেন।’
প্রসঙ্গত, মোদী-শাহের রাজ্যে এই বিধানসভা নির্বাচনের দিকে নজর রয়েছে সকলের। ২৪-র লোকসভা নির্বাচনের আগে এই নির্বাচনে জয় ও পরাজয়ের মধ্যে একটা বড় সমীকরণ নির্ভর করবে। এই নির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াই হতে চলেছে বিজেপি, আম আদমি পার্টি ও কংগ্রেসের মধ্যে। নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগে থেকেই কোমর কষেছে প্রায় সব রাজনৈতিক দলই। গত ২৫ বছর ধরে রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। তবে মোরবি সেতু বিপর্যয়ে খানিকটা অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্যের শাসক দল। এদিকে গতবছরই প্রথম দিল্লির বাইরে পা রেখেছে আপ। পঞ্জাবে ক্ষমতা কায়েমের পরই এখন আপের পাখির চোখ গুজরাট। এদিকে রাজ্যে গত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ক্ষমতায় না আসলেও বিজেপি গড়ে ‘হাতের’ ছাপ রাখতে সক্ষম হয়েছিল। এবার ডিসেম্বরের নির্বাচনে কী সমীকরণ দাঁড়ায় তাই দেখার।