Gujarat: ২২,০০০ কোটি টাকার সামরিক বিমান তৈরির মেগা প্রকল্প জিতে নিল গুজরাট সরকার

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Oct 28, 2022 | 12:00 AM

Gujarat: ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য 'ট্রান্সপোর্ট ক্র্যাফ্ট' অর্থাৎ পরিবহন বিমান তৈরির জন্য টাটা এবং এয়ারবাস সংস্থার ২২,০০০ কোটি টাকার যৌথ প্রকল্প জিতে নিল গুজরাট। রবিবার, ভদোদরায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এর উদ্বোধন করবেন।

Gujarat: ২২,০০০ কোটি টাকার সামরিক বিমান তৈরির মেগা প্রকল্প জিতে নিল গুজরাট সরকার
সি-২৯৫ ট্রান্সপোর্ট প্লেন (ছবি সৌজন্য - টুইটার)

Follow Us

আহমেদাবাদ: ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য ‘ট্রান্সপোর্ট ক্র্যাফ্ট’ অর্থাৎ পরিবহন বিমান তৈরির ২২,০০০ কোটি টাকার প্রকল্প জিতে নিল গুজরাট। গুজরাটের ভদোদরা শহরে এই উৎপাদন কারখানা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে টাটা এবং এয়ারবাস সংস্থা। এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে বেদান্ত লিমিটেড এবং তাইওয়ানের ফক্সকন সংস্থা যৌথ উদ্যোগে সেমিকন্ডাক্টর তৈরির ১৯৫০ কোটি ডলারের বিনিয়োগও কব্জা করেছিল গুজরাট। নয়া প্রকল্পটির বিষয়ে বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) ভারতের প্রতিরক্ষা সচিব অজয় ​​কুমার বলেছেন, “এই প্রথম ভারতে বেসরকারি সংস্থা সামরিক বিমান তৈরি করবে। প্রকল্পের মোট খরচ ২১,৯৩৫ কোটি টাকা। বিমানগুলি অসামরিক উদ্দেশ্যেও ব্যবহার করা যাবে।”

রবিবার, ভদোদরায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এর উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর ‘মেক-ইন-ইন্ডিয়া’ অভিযানের অন্যতম লক্ষ্য সামরিক প্রযুক্তি এবং সাজ-সরঞ্জামের ক্ষেত্রে বিদেশি নির্ভরতা কমানো। টাটা-এয়ারবাস সংস্থার এই যৌথ পরিকল্পনা সেই লক্ষ্য় পূরণের দিকে ভারতকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এই প্রকল্পের ফলে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলেও আশা করা হচ্ছে।

গত মাসেই এয়ারবাস সংস্থার থেকে ৫৬টি সামরিক পরিবহন বিমান কেনার অনুমোদন দিয়েছিল সরকার। চুক্তি অনুযায়ী ১৬টি বিমান একেবারে ওড়ার জন্য তৈরি অবস্থায় সরবরাহ করবে এয়ারবাস। বাকি ৪০টি বিমান তারা তৈরি করবে ভারতের মাটিতে। প্রথম ১৬টি বিমান ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের অগস্ট মাসের মধ্যে সরবরাহ করার কথা। গুজরাটে যে বিমানগুলি তৈরি করা হবে, আশা করা হচ্ছে সেগুলি ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর থেকেই সরবরাহ করা শুরু হবে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতি অনুসারে, এই নতুন সামরিক পরিবহন বিমানগুলি দ্রুত প্রতিক্রিয়ায় সক্ষম হবে। সৈন্য ও অন্যান্য মালপত্র নামানোর জন্য, পিছনে একটি র‌্যাম্প-সহ দরজা থাকবে। টেক-অফ বা ল্যান্ডিং-এর জন্য খুব বেশি জায়গা লাগবে না। কারণ স্বল্প দৌড়েই উড়ে যেতে পারবে বিমানগুলি। সেই সঙ্গে, আধা-প্রস্তুত পৃষ্ঠ থেকেও টেক অফ বা ল্যান্ড করতে পারবে।

Next Article