নয়া দিল্লি: সময় হয়ে গিয়েছে বর্ষার বিদায় নেওয়ার। কিন্তু যাওয়ার আগেও সাধারণ মানুষকে নাকানি-চোবানি খাওয়াচ্ছে নাছোড় বর্ষা। একদিনের বৃষ্টিতেই জমা জলে বেহাল অবস্থা গুরুগ্রামের। বৃষ্টির জল জমে রাস্তা পরিণত হয়েছে নদীতে, যানজটে প্রায় থমকে দাঁড়িয়েছে শহরের অধিকাংশ জায়গা। এরইমধ্যে চিন্তার খবর শোনাল আবহাওয়া দফতর। আজও ভারী বৃষ্টি থেকে নিস্তার পাবে না দিল্লি ও সংলগ্ন অংশগুলি। আবহাওয়া দফতরের তরফে হলুদ সতর্কতা জারি করতেই বেসরকারি ও কর্পোরেট অফিসগুলির তরফে সমস্ত কর্মীদের আজকের দিনটি বাড়ি থেকে কাজ করারই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, ভারী বৃষ্টির কারণেই স্কুল-কলেজগুলিকেও বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধ ও বৃহস্পতিবার দিনভর ভারী বৃষ্টির জেরেই সমস্যায় পড়েছেন গুরুগ্রামের বাসিন্দারা। বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার কারণে শহরের অধিকাংশ জায়গাই জলের তলায় চলে গিয়েছে। জমা জলের কারণে তৈরি হয়েছে ব্যাপক যানজটও। প্রভাব পড়েছে অফিসের কাজকর্মেও। আবহাওয়া দফতরের তরফে আজও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করতেই অধিকাংশ বেসরকারি ও কর্পোরেট অফিসগুলির তরফে তাদের সমস্ত কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোমের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Delhi- Gurgaon expressway inundated due to waterlogging after heavy rainfalls in #Gurgaon leading to massive traffic jams. Authorities issued an advisory to Work from home for a day after heavy Rain.
Video source – @ANI@CNNnews18 @MDIGurgaon @dtptraffic @gurgaonpolice#Trending pic.twitter.com/Z6lo4HKxs9— CheckBrand (@CheckBrand2) September 22, 2022
গুরুগ্রাম বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের তরফেও নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, “ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসের কারণে জল জমা ও যানজট দেখা দিতে পারে। সেই কারণেই এই জেলার সমস্ত বেসরকারি ও কর্পোরেট অফিসগুলিকে তাদের কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার অনুমতি দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, যাতে যানজট এড়ানো যায় এবং কাজেও প্রভাব না পড়ে।” প্রশাসনের তরফে আজ গুরুগ্রামের সমস্ত স্কুুল ও কলেজগুলিও বন্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বর্ষার বিদায় নেওয়ার ঠিক আগে, বুধবার থেকে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে গুরুগ্রাম ও নয়ডায়। বৃহস্পতিবারও দিনভর জারি ছ্ল ভারী বৃষ্টি। এর জেরেই জল জমা ও যানজটের সমস্যা দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া দফতরের তরফে আজও হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আজ দিনভর মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে শহরজুড়ে। তবে এই বৃষ্টিকে সম্পূর্ণ খারাপ বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা। চলতি মরশুমে দিল্লি ও এনসিআর অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রায় ৪৬ শতাংশ ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বর্ষার বিদায়ের ঠিক আগে একটানা এই ভারী বৃষ্টির প্রভাবে সেই ঘাটতি অনেকটাই পূরণ হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া দিল্লিতে যে বায়ুদূষণের সমস্যা রয়েছে, তাও বৃষ্টির জেরে অনেকটা কমবে বলেই মনে করা হচ্ছে।