গুরুগ্রাম: বউ অদল-বদল করে যৌনতা! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল গুরুগ্রামের এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। অভিযোগকারিনী তাঁর নিজের স্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, গুরুগ্রামে বউ অদল-বদল করে যৌনতার পার্টি চলে। তাঁর স্বামী তাঁকে ওই ধরনের পার্টিতে যেতে বাধ্য করতেন। এমনকী, দেওরের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্যও চাপ দিতেন। তিনি না যেতে চাইলে, তাঁর উপর নেমে আসত স্বামীর যৌন নির্যাতন, মারধর। নির্যাতিতা মহিলা মুজফ্ফরনগরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। আদালতের নির্দেশে পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী এবং দেওরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা মুজফ্ফরপুরের বাসিন্দা। ২০২১ সালের জুন মাসে তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল গুরুগ্রামের ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে নির্যাতিতার। এটি ছিল ওই মহিলার দ্বিতীয় বিয়ে। বিয়ের পর তিনি জানতে পারেন, তাঁর স্বামী, দেওর এবং তাঁদের পরিচিত আরও কয়েকজন নিয়মিত নিজেদের স্ত্রীদের অদল-বদল করে যৌনতায় লিপ্ত হয়। মাঝে মাঝেই এই ধরণের পার্টির আয়োজন হয়ে থাকে। বিয়ের পর ওই মহিলাকেও এই পার্টিগুলিতে যাওয়ার জন্য চাপ দেন অভিযুক্ত ব্যবসায়ী।
নির্যাতিতা মহিলা বলেন, ‘আমি যেতে অস্বীকার করলে, আমার স্বামী আমাকে মারধর করত এবং যৌন হেনস্থা করত। গত ২৪ এপ্রিল আমি গুরুগ্রাম থানায় যাচ্ছিলাম অভিযোগ জানাতে। কিন্তু, যাওয়ার পথে আমায় বাধা দিয়েছিল স্বামীর পোষা গুন্ডারা। কাউকে কিছু জানালে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলেও হুমকি দেয় ওরা।’ অবশেষে, বাপের বাড়িতে এসে পুরো বিষয়টি মুজফ্ফরপুরের নিউ মান্ডি থানায় অভিযোগ জানান।
নিউ মান্ডি থানার এসএইচও সুশীল কুমার সাইনি জানিয়েছেন, ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর স্বামী ও দেওরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, হত্যার চেষ্টা, ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করা, অশান্তি ছড়াতে চেয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে অপমান করা, অপরাধমূলক হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির প্রাসঙ্গিক ধারায় মামলা করা হয়েছে। তবে ঘটনাটি গুরুগ্রামে ঘটায়, মামলাটি মুজফ্ফরপুর থেকে গুরুগ্রামের এক থানায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সোমবার রাতে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী ও তাঁর ভাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই, কেরলের কোট্টায়ামে পাঁচ ব্যক্তিকে বিকৃত কামের দায়ে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তারা একটি বিকৃতকামী চক্রের অংশ ছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেই চক্রে বউ অদলবদল করে যৌনতা, স্বামীর সামনে অন্য পুরুষের সঙ্গে স্ত্রীর যৌনতা, অস্বাভাবিক যৌনতার মতো বিকৃত কামের অনুশীলন চলত বলে জানিয়েছিল পুলিশ।