নয়াদিল্লি: গেরুয়া ও কালো রঙ দিয়ে আঁকা হনুমানের ছবি। সেই ছবি দেখলে মনে হবে হনুমান যেন রেগে রয়েছেন। সেই রাগী হনুমানের ছবির কদর এখন গোটা দেশে। হনুমান জয়ন্তীর মিছিলে পতাকা হোক বা ব্যানার- হনুমানের এই ছবিই এখন ব্যবহৃত হচ্ছে সর্বোচ্চ। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও একটি নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে এই ছবির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন। তবে ছবিটি নতুন নয়। বেশ কয়েক বছর আগে এক শিল্পী এঁকেছিলেন এই ছবি। হনুমানের এক ভক্ত হিসাবে এই ছবি এঁকেছিলেন তিনি। সেই ছবি যে রীতিমতো আইকনে পরিণত হবে, তা স্বপ্নেও ভাবেননি তিনি। বর্তমানে এই ছবির কদর দেখে একটি তিনি খুশি, আবার অবাকও।
হনুমানের এই ছবি এঁকেছিলেন কেরলের শিল্পী করণ আচার্য। দেশ জুড়ে প্রশংসিত হয় সেই ছবি। ছবি আঁকার বিষয়ে কেরলের ওই শিল্পী বলেছিলেন, “এ সবের শুরু হয়েছিল আমার এক বন্ধুর অনুরোধ ঘিরে। গণেশ চতুর্থীকে একটি পতাকা আঁকতে বলেছিল। যা দেখতে অনন্য হবে। এর পর আমরা অন্য ভগবানের ছবি আঁকার পরিকল্পনা করি। যেহেতু আমরা হনুমানের ভক্তি। তাই হনুমানের ছবি আঁকার সিদ্ধান্ত নিই। এমন আঁকতে চেয়েছিলাম যা ইন্টারনেটে থাকা ছবির থেকে আলাদা হবে।” রাগী হনুমানের ছবির প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “আমরা অনন্য ছবি তৈরি করতে চেয়েছিলাম। সে সময় হনুমানের এ রকমই চিত্রই আমার মাথায় আসে।”
ছবিতে থাকা গেরুয়া রঙের জন্যই এই ছবি এত জনপ্রিয় বলে মত অনেকের। ওই রঙের ব্যবহারের জন্যই হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠনের পতাকায় ঠাঁই পেয়েছে এই ছবি। এই রঙের ব্যবহারের ব্যাপারে কেরলের ওই শিল্পী বলেছেন, “ঈশ্বরকে বোঝাতে আমি গেরুয়া রং ব্যবহার করেছিলাম। কোনও রাজনৈতিক দলকে সমর্থনের জন্য নয়। গোটা ছবি আঁকতে আমার আধ ঘণ্টা সময় লেগেছে।”
তিন বছরের মধ্যে এই ছবি এত ভাইরাল হওয়ায় নিজের খুশি গোপন করেননি ওই শিল্পী। এমনকি ছবি নিয়ে মোদীর প্রশংসা তাঁর কাছে সবথেকে বড় প্রাপ্তি বলেও জানিয়েছেন। বলেছেন, “এক রবিবার সকালে আমার বন্ধুরা নাগাড়ে ফোন করে যাচ্ছিল। তাঁরাই আমাকে বলে প্রধানমন্ত্রী এক নির্বাচনী সভায় এই ছবির প্রশংসা করেছে। আমি প্রথমে বিশ্বাস করিনি। এই প্রশংসা আমার কাছে খুব বড় প্রাপ্তি।”