পানাজি : বিজেপি নেত্রী তথা তারকা সোনালি ফোগটের মৃত্যু নিয়ে ক্রমশ রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। প্রথমে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে স্বাভাবিক মৃত্য়ুর কথা জানা গেলেও যত সময় এগোচ্ছে পুলিশি তদন্তে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসছে। ইতিমধ্যে বিজেপি নেত্রীর মৃত্যুতে তাঁর সহকারী সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোনালির মৃত্য়ুর তদন্ত চলাকালীনই এই তদন্তভার সিবিআই-র কাছে হস্তান্তরের আর্জি জানিয়েছেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর। তাঁর আবেদনের উত্তরে, গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রয়োজন পড়লে সিবিআই-র কাছে এই তদন্ত হস্তান্তর করা হবে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী সওয়ান্ত জানিয়েছেন, ‘হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। এই ঘটনায় পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে সোনালির পরিবারের সদস্যরা দেখা করেছেন। তাঁরা সিবিআই তদন্তের অনুরোধ করার পর তিনি সোনালির মৃত্যুর তদন্তের দায়িত্ব সিবিআই-কে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন।’ বিজেপি নেত্রীর মৃত্যু রহস্যে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি খাট্টারের আবেদনে একপ্রকার সবুজ সংকেত দিয়ে বলেছেন, প্রয়োজন পড়লে এই তদন্ত সিবিআই-র কাছে হস্তান্তর করবে গোয়া সরকার। তিনি বলেছেন, ‘আমার এই নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। আজকের সব আনুষ্ঠানিকতার পর যদি প্রয়োজন পড়ে আমি এই মামলা সিবিআই-র কাছে পাঠাবো।’
প্রসঙ্গত, রবিবার এই মামলায় আরও একজন ড্রাগ ডিলারকে গ্রেফতার করেছে গোয়া পুলিশ। এই নিয়ে সোনালি মৃত্যু রহস্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হল। প্রাথমিকভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছিল বিজেপি নেত্রীর মৃত্যুকে। তবে সোনালির পরিবারের তরফে বারংবার অভিযোগ করা হয়, এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। নেত্রীর ভাই রিঙ্কু অভিযোগ করেন, তাঁর দিদিকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তারপরই এই মৃত্য়ুর তদন্ত শুরু করে গোয়া পুলিশ। তদন্তে নেমে সোনালির দুই সহকারী, নাইট ক্লাবের মালিক ও দুই ড্রাগ ডিলারকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যেই নাইট ক্লাবের সিসিটিভি ফুটেজ সামনে এসেছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, জোর করে মাদক মেশানো পানীয় পান করানো হচ্ছে সোনালি। যা খাওয়ার পরই অসুস্থ বোধ করেন তিনি। নিজে হেঁটে যাওয়ার ক্ষমতাও ছিল না তাঁর। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, সহকারীরা তাঁকে ধরে নিয়ে নাইট ক্লাব থেকে যাচ্ছেন। এদিকে তদন্তের মুখে সোনালির পানীয়তে মাদক দ্রব্য মেশানোর কথা স্বীকার করে নিয়েছে তাঁর দুই সহকারী। এবার এই তদন্তে আর কোন বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসে তাই দেখার।