চণ্ডীগঢ়: যুগ যুগ ধরে মানবজাতিকে জ্ঞানের ও শান্তির পথ দেখিয়ে এসেছে ‘ভগবত গীতা’। রবিবার এমনটাই বললেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর (Manohar Lal Khattar)। তিনি এদিন বলেন, কুরুক্ষেত্রের মতো পবিত্র ভূমিতে পবিত্র বই ‘ভগবত গীতা’-র ‘শ্লোক’ পাঠ গত কয়েক যুগ ধরে মানব জাতিকে জ্ঞান ও আত্মার শান্তির পথ দেখাচ্ছে।
তিনি গতকাল জানান, ৫ হাজারেরও বেশি বছর আগে ভগবান কৃষ্ণ এই ‘ভগবত গীতায়’ ‘কর্মের’ গুরুত্ব সম্পর্কে উপদেশ দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘শান্তি ও সম্প্রীতির সঙ্গে আমাদের জীবনযাপনের সারমর্ম শিখিয়েছে এই পবিত্র বইটি।’ উল্লেখ্য,রবিবার আন্তর্জাতিক গীতা মহোৎসব ২০২২-র আওতায় আয়োজিত ‘গীতা বৈশ্বিক পথ’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কুরুক্ষেত্র ডেভেলপমেন্ট বোর্ড ও শিক্ষা দফতরের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।
এই অনুষ্ঠানে কুরুক্ষেত্রের বিভিন্ন স্কুলের প্রায় ১৮ হাজার পড়ুয়া যোগ দিয়েছিলেন। তারা এই পবিত্র বইয়ের ১৮ টি অধ্যায়ের থেকে ১৮ টি শ্লোক আবৃত্তি করে। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, হরিয়ানার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি স্কুলের ৭৫ হাজারের বেশি ছাত্র-ছাত্রী ও অন্যান্য দেশের নাগরিকরা ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। গীতা জয়ন্তীতে শুভেচ্ছা জানিয়ে এবং কুরুক্ষেত্রকে ‘ভগবত গীতার’ উৎপত্তিস্থল হিসাবে উল্লেখ করে খট্টর এদিন বলেন,’ভগবান কৃষ্ণ হাজার হাজার বছর আগে পবিত্র গ্রন্থের শিক্ষা দিয়েছিলেন।’
প্রসঙ্গত, আগে কেবলমাত্র জেলা স্তরে এই উৎসব পালিত হত। তবে ২০১৬ সাল থেকে এই উৎসবকে আন্তর্জাতিক গীত মহোৎসবের আখ্যা দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তরুণ প্রজন্মকে পবিত্র গ্রন্থের সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য সরকার গীতা বৈশ্বিক পাঠের মতো কর্মসূচি শুরু করেছে। খট্টর বলেছিলেন যে ‘গীতা বৈশ্বিক পথ’ অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করা প্রতিটি শ্লোক ইতিবাচকতা ছড়িয়ে দেয়।