‘আক্রান্ত হওয়া ৬ সপ্তাহ পরও জ্বর আসছে শিশুদের’, বিশেষ পর্যবেক্ষণ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের
শিশুদের জন্য বিশেষ ভ্যাকসিন (Vaccine) তৈরি করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন নীতি আয়োগ সদস্য ড. ভিকে পাল (Dr. VK Paul)।
নয়া দিল্লি: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বহু শিশুকেই আক্রান্ত হতে দেখা গিয়েছে। আর বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, তৃতীয় তরঙ্গের আঘাত সবথেকে বেশি লাগবে শিশুদের। তাই শিশুদের শরীরে এই ভাইরাসের প্রভাব নিয়ে বিশেষ পর্যবেক্ষণ দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Health Ministry)। টিকাকরন সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞদের কমিটির সদস্য ড. ভিকে পাল (Dr. VK Paul) জানিয়েছেন, শিশুদের শরীরে কী প্রভাব পড়ছে, সে দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে কেন্দ্র। তার ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে এগোচ্ছে কেন্দ্র।
ড. পাল জানিয়েছেন, অনেক শিশু উপসর্গবিহীন হলেও মূলত দু’ধরনের উপসর্গ দেখা যাচ্ছে তাদের শরীরে। প্রথমত, নিউমোনিয়ার মতো একটা উপসর্গ দেখা দিচ্ছে, দ্বিতীয়ত অনেক শিশু ভুগছে মাল্টি-ইনফ্ল্যামেটরি সিন্ড্রোমে। ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘যদিও খুব বিরল ঘটনা, তবে অনেক সময় দেখা যাচ্ছে কোনও শিশু আক্রান্ত হওয়ার ৬ সপ্তাহ পর তার জ্বর আসছে, সঙ্গে বমি ও গায়ে র্যাশ। তবে চিকিৎসকরা করোনা পরবর্তী এই উপসর্গের চিকিৎসা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল বলে জানিয়েছেন তিনি।
নীতি আয়োগ কর্তা ভিকে পাল আরও বলেন, ‘বারেবারে নিজের চরিত্র বদলেছে কোভিড। আবার চরিত্র বদলে শিশুদের বেশি মাত্রায় সংক্রমিত করতে পারার আশঙ্কাও তাই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: মৃতদেহ খুবলে খাচ্ছে কুকুর, ভয়াবহ দৃশ্যে শিহরিত দেশ
কোভিডের প্রথম ঢেউ শিশুদের উপর খুব একটা প্রভাব ফেলেনি৷ কিন্তু করোনার সেকেন্ড ওয়েভে বয়স্কদের পাশাপাশি যুব এবং মধ্য বয়স্করাও যেমন সংক্রমিত হয়েছেন, তেমনই আক্রান্ত হয়েছে অনেক শিশু। এ দিন তিনি আরও জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রক শিশুদের জন্য করোনা ভ্যাকসিনের বিশেষ ডোজ বানাচ্ছে৷ খুব শীঘ্রই তা বাজারে নিয়ে আসা হবে৷ শিশুদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ রোধ এবং চিকিৎসার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। দ্রুত নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করা হবে সেই কমিটির তরফে৷ এ ছাড়া, দুটি আলাদা কোম্পানির ভ্যাকসিনের ডোজ মিশিয়ে না নেওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করেছেন ডক্টর পাল। এর উল্টো প্রভাব পড়তে পারে বলেও তিনি জানিয়েছেন।