তিরুবনন্তপুরম: করোনা (COVID-19), জ়িকা(Zika Virus)-র পর এবার বার্ড ফ্লু (Bird Flu) সংক্রমণও শুরু হয়ে গেল কেরলে (kerala)। আলাপুজ়া (Alapuzha) জেলায় বেশ কিছু পাখির নমুনা পরীক্ষা করে বার্ড ফ্লু ধরা পড়তেই কড়া সতর্কতা জারি করল কেরল সরকার। সম্প্রতিই ওই জেলায় গৃহপালিত পাখির মড়ক দেখা দেওয়ায়, মৃত পাখির নমুনা ভোপালের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হাই সিকিউরিটি অ্যানিমাল ডিজিজে (National Institute of High-Security Animal Disease) পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। সেখান থেকেই জানানো হয়েছে, মৃত পাখিদের শরীরে এইচ৫এন১ ইনফ্লুয়েঞ্জা, যা বার্ড ফ্লু নামে পরিচিত, তা ধরা পড়েছে।
রাজ্যের পশু আধিকারিকরা জানিয়েছেন, শুক্রবার থেকেই সংক্রমিত এলাকায় পাখি নিধনের কাজ শুরু করা হবে। যাতে আরও পাখির মধ্যে এই সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে, সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, পশু-পাখি পালকদের ক্ষতিপূরণও দেওয়া হবে। রাজ্যের পশুপালন মন্ত্রী জে চিঞ্চু রাণী বলেন, “সরকারের তরফে জেলা আধিকারিকদের সতর্ক করা হয়েছে এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে।”
চারিদিকে জলভাগ ঘেরা থাকায়, কেরলে হাস প্রতিপালন আয়ের একটি বড় অংশ, কিন্তু প্রায় প্রতি বছরই বার্ড ফ্লুর প্রকোপ দেখা যায় রাজ্যে। মূলত ভিন দেশের পাখি থেকেই এই সংক্রমণ ছড়ায়। আলাপুজ়া ও কোট্টায়াম জেলায় যত হাঁস প্রতিপালন করা হয়, তার একটি বড় অংশই বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। ডিম ও মাংসের বিপুল চাহিদা থাকায়, পোলট্রিজাত পাখির তুলনায় খামারে প্রতিপালিত হাঁস-মুরগির দামই বেশি।
গত বছরও কেরলে বার্ড ফ্লু সংক্রমণ দেখা দিয়েছিল, তবে প্রশাসনের তৎপরতায় কিছুদিনের মধ্যেই তা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। ২০১৬ সালে কেবল আলাপুজা ও পাথানামিত্তা জেলাতেই কমপক্ষে ৫ লক্ষ হাঁস-মুরগিকে মেরে ফেলা হয়েছিল সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে।