High Court: নির্যাতিতা নাবালিকার গর্ভে অবাঞ্ছিত সন্তান, ২৯ সপ্তাহ পরও গর্ভপাতের অনুমোদন দিল হাইকোর্ট
High Court: ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, বেশ কয়েকটি মামলার ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে জেলাগুলির চিফ মেডিক্যাল অফিসার সহ মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য হিসেবে নিযুক্ত চিকিৎসকেরা অনেক সময়ই গর্ভপাত সম্পর্কে সচেতন নন। পরবর্তী পদ্ধতি সম্পর্কেও তাঁরা অবগত নন।
এলাহবাদ: যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়ে নাবালিকা। গর্ভপাত ছাড়া আর কোনও উপায় নেই দেখে শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হয় পরিবার। সম্প্রতি এলাহবাদ হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের হয়। নির্যাতিতার পরিবার গর্ভপাতের অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। নির্যাতিতা নাবালিকা ২৯ সপ্তাহের গর্ভবতী। এমটিপি আইনে ২০২১-এর সংশোধনী অনুযায়ী, অবাঞ্ছিত গর্ভধারণের ক্ষেত্রে অর্থাৎ নির্যাতনের শিকার হয়ে গর্ভবতী হলে ২৪ সপ্তাহ পর্যন্ত গর্ভপাত করা অনুমতি পাওয়া যায়। এই মামলার শুনানিতে একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের নির্দেশ দেয় আদালত।
মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্টে বলা হয়েছে, নাবালিকার প্রায় ২৯ সপ্তাহের গর্ভবতী। রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, নির্যাতিতা যদি গর্ভপাত না করে, তাহলে তার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। এই রিপোর্ট দেখার পর আদালত তার আবেদন গ্রহণ করে ও গর্ভপাতের অনুমতি দেয়।
এই নির্দেশের পাশাপাশি হাইকোর্ট উত্তর প্রদেশের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর বা এসওপি জারি করার নির্দেশ দিয়েছে, যা সমস্ত চিফ মেডিকেল অফিসার এবং গঠিত বোর্ডগুলি অনুসরণ করবে। কারণ ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, বেশ কয়েকটি মামলার ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে জেলাগুলির চিফ মেডিক্যাল অফিসার সহ মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য হিসেবে নিযুক্ত চিকিৎসকেরা অনেক সময়ই গর্ভপাত সম্পর্কে সচেতন নন। পরবর্তী পদ্ধতি সম্পর্কেও তাঁরা অবগত নন।
তবে এলাহবাদ হাইকোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ, এই ক্ষেত্রে মেডিক্যাল অ্যাবরশন অ্যাক্ট, ১৯৭১-এর নিয়ম মানতে হবে। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন রায়েও উল্লেখ করা হয়েছে এই বিষয়। আদালত বলেছে, পুরো প্রক্রিয়ায় সংবেদনশীলতার কথা মাথায় রাখতে হবে। মামলার নথি থেকে নির্যাতিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের নাম বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। গর্ভপাতের সময়েও যাতে কারও নাম উল্লেখ না করা হয়, সেই নির্দেশও দিয়েছে হাইকোর্ট।