গোয়ালিয়র: চলতি বছরই মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা। ইতিমধ্যে একপ্রস্থ প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বিজেপি। এবার মধ্যপ্রদেশে গিয়ে বিজেপি সরকারের রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বিজেপি সরকারের ২০ বছরের খতিয়ান তুলে ধরে রিপোর্ট কার্ডে শাহর দাবি, মধ্যপ্রদেশের ‘BIMARU’ (পিছিয়ে পড়া) তকমা সরাতে সফল হয়েছে বিজেপি সরকার। এপ্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “বিজেপি একটি অসুস্থ রাজ্যকে দেশের উন্নত রাজ্যের সমকক্ষে নিয়ে এসেছে।”
সূত্রের খবর, বিধানসভা নির্বাচনের রণকৌশল স্থির করতে এবং সংগঠনকে চাঙ্গা করতেই এদিন মধ্যপ্রদেশে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির তথাকথিত সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড অমিত শাহ। গোয়ালিয়রে তিনি দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি সরকারের রিপোর্ট কার্ড তুলে ধরেন শাহ। সেই রিপোর্ট কার্ডেই মধ্যপ্রদেশকে বিমারু রাজ্য থেকে উন্নতমানের রাজ্য করে তোলার দাবি জানান তিনি। শাহ বলেন, “২০ বছর আগে বিজেপি সরকার অসুস্থ রাজ্য হিসাবে মধ্যপ্রদেশকে নিয়েছিল এবং ২০ বছরের মধ্যে দেশের উন্নত রাজ্যগুলির সমকক্ষে নিয়ে এসেছে। আগামী দিনে প্রধানমন্ত্রী মোদীজির নেতৃত্বে কীভাবে এই রাজ্যকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, তারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” এপ্রসঙ্গে মধ্যপ্রদেশ নিয়ে ২০ বছর আগে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ আশিস বোসের রিপোর্টও তুলে ধরেন শাহ।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ আশিস বোস তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর কাছে উন্নয়নের নিরিখে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের পরিস্থিতি তুলে ধরেন। সেখানে উন্নয়নের নিরিখে বিহার, সংযুক্ত মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং উত্তরপ্রদেশকে ‘বিমারু’ রাজ্য বলে উল্লেখ করেছিলেন। সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে শাহর কটাক্ষ, “কংগ্রেসের ৫৩ বছরের শাসনকালে মধ্যপ্রদেশ বিমারু রাজ্য হিসাবে চিহ্নিত হয়েছিল।” সেই অবস্থা থেকে বিজেপি মধ্যপ্রদেশকে উন্নত রাজ্যের স্তরে নিয়ে গিয়েছে দাবি জানিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথকে একহাত নেন শাহ। কমল নাথের সরকার রাজ্যকে লুঠ করেছে বলেও তোপ দাগেন তিনি। আগামী দিনে ফের বিজেপি ফিরে আসবে এবং লোকসভা নির্বাচনেও ২৯টি আসনের মধ্যে বিজেপি ২৭ আসন পাবে বলে দাবি জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনে জয় সুনিশ্চিত করতে এদিন গোয়ালিয়রে রাজ্যের সমস্ত বিধায়ক, সাংসদ, দলের জেলা সভাপতি সহ শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন অমিত শাহ। এই বৈঠকে প্রায় দেড় হাজার দলীয় নেতা-কর্মী উপস্থিত হয়েছিলেন।