প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান করি, তবে আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে নয়: কৃষক নেতা টিকাইত

ঋদ্ধীশ দত্ত |

Jan 31, 2021 | 3:47 PM

টিকাইত বলেন, "আমরা প্রধানমন্ত্রীকে মর্যাদা জানাই এবং সম্মান করি। কিন্তু, চাষিরাও চায় না যাতে সংসদ বা সরকার আমাদের সামনে ঝুঁকে পড়ুক। কৃষকদের আত্মসম্মান যাতে অটুট থাকে আমরা সেটা নিশ্চিত করব।"

প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান করি, তবে আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে নয়: কৃষক নেতা টিকাইত
ছবি-টুইটার

Follow Us

নয়া দিল্লি: প্রধানমন্ত্রীর (PM Narendra Modi) পদমর্যাদাকে সমীহ করলেও কৃষকরা (Farmers) নিজেদের আত্মসম্মান বিসর্জন দেবেন না। রবিবার দৃপ্ত কণ্ঠে এমনটাই জানিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারী কৃষকদের নেতা নরেশ টিকাইত (Naresh Tikait)। শনিবার সর্বদল বৈঠকে নরেন্দ্র মোদী আন্দোলনকারী কৃষকদের উদ্দেশে বলেছিলেন, একবার ফোন পেলেই তিনি কৃষি আইন স্থগিত করে দেবেন। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন এই কথা বলেছেন কৃষক আন্দোলনের অন্যতম প্রধান এই মুখ।

Gfx

কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে ১১ বার বৈঠকের পরও কৃষি আইন নিয়ে কোনও রফাসূত্র বের হয়নি। এরপরই প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন আন্দোলনকারী চাষিরা ট্রাক্টর র‍্যালি বের করে এবং রাজধানীর বুকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারীদের আটক করা হয়। তারপর সাময়িকভাবে কৃষি আন্দোলনে ভাঙন দেখা গেলেও পরবর্তী সময় নরেশ টিকাইতয়ের আবেগপ্রবণ বার্তার পরই তা নতুনভাবে জেগে ওঠে। তবে কথাবার্তা চালিয়ে যাওয়ার জন্য যে পরিবেশ প্রয়োজন, এখন তা নেই বলেই দাবি করেছেন টিকাইত। তাঁর কথায়, “সরকারের উচিত আমাদের লোকেদের ছেড়ে আলোচনার পরিবেশ তৈরি করা।” তিনি আরও বলেছেন, “আমাদের একটা সম্মানজনক সমাধানের পথে পৌঁছতে হবে। চাপ দিয়ে কোনও শর্তে আমাদের রাজি করানো যাবে না।”

অন্যদিকে আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানের পাল্টা দিয়ে টিকাইত বলেন, “আমরা প্রধানমন্ত্রীকে মর্যাদা জানাই এবং সম্মান করি। কিন্তু, চাষিরাও চায় না যাতে সংসদ বা সরকার আমাদের সামনে ঝুঁকে পড়ুক। কৃষকদের আত্মসম্মান যাতে অটুট থাকে আমরা সেটা নিশ্চিত করব। একটা মধ্যপন্থা আমাদের খুঁজে বের করে করতে হবে। যার জন্য আলোচনা চালিয়ে যাওয়া জরুরি।”

আরও পড়ুন: ‘আমরাও জানি কীভাবে ভোট করাতে হয়…’, বিজেপিতে যোগ দিয়েই সুর চড়ালেন রাজীব

তবে ২৬ জানুয়ারি লাল কেল্লার সামনে যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল তা পুরোটাই ‘পরিকল্পনামাফিক’ বলে এদিন দাবি করেছেন টিকাইত। তাঁর দাবি, “২৬ জানুয়ারির হিংসা ষড়যন্ত্রের একটা অংশমাত্র। দেশের তেরঙ্গার স্থান সবকিছুর উপরে। সেটাকে আমরা কখনই অপমান করতে পারি না। এটা আমরা সহ্য করে নেব না।” প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই দিল্লির অশান্তির ঘটনায় ৪০টি মামলা দিল্লি পুলিশ দায়ের করেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে প্রায় ৮০ জনকে।

আরও পড়ুন: বিস্ফোরণে উদ্ধার হওয়া ব্যাটারি ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন বা লস্করই ব্যবহার করে, বলছেন গোয়েন্দারা

Next Article