কাশ্মীর: সন্তান লাভ করার জন্য অনেক বাবা-মা কার্যত সাধনা করেন। সন্তান না পাওয়ার ব্যর্থতা হতাশ করে পরিবারকে। কিন্তু ১০ মাস গর্ভে ধারণ করার পর যদি কোনও মা জানতে পারেন তাঁর সন্তান মৃত, তাহলে মাথা ঠিক রাখাই কঠিন হয়ে ওঠে। জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দা বাশারত আহমেদের সঙ্গেও একই ঘটনা ঘটে। সদ্যজাত-র জন্মের পরই জানিয়ে দেওয়া হয়, তাঁদেক সন্তান মৃত। মৃত অবস্থাতেই জন্ম হয়েছে তার। এ কথা শুনে বাবা- মায়ের কার্যত পাগল হওয়ার অবস্থা। কিন্তু বিধির লিখন তো আর খণ্ডানো যায় না! তাই সবটাই মেনে নিয়েছিলেন তাঁরা। প্রথা মেনে কবর দেওয়ার বন্দোবস্তও শুরু হয়ে গিয়েছিল। তারপরই ভাঙল ভুল।
কবর দিতে গিয়ে পরিবার- পরিজনেরা দেখলেন শিশু নড়াচড়া করছে। এখনও যে তার শরীরে প্রাণ রয়েছে, সেটা বুঝতে কারও বাকি থাকেনি। তাই তাঁরা দ্রুত শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন, শিশু বেঁচে আছে। তারপরই শুরু হয় চিকিৎসা। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, কী ভাবে একটা হাসপাতাল এতটা দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো কাজ করতে পারে!
জম্মু ও কাশ্মীরের রামবান জেলার বানিহাল হাসপাতালের ঘটনা। হাসপাতালের গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখায় পরিবার। আত্মীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে হাসপাতালের দুই কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। অভিযোগ, বাশারতের স্ত্রী সন্তানের জন্ম দেন সোমবার। এরপরই তাঁকে হাসপাতালের কর্মীরা জানান সন্তান মৃত। পরে কবরস্থানে নিয়ে যাওয়ার পর সামনে আসে আসল ঘটনা। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শ্রীনগরের একটি হাসপাতালে তার চিকিৎসা শুরু হয়েছে।
এই খবর পেয়ে বানিহালের এসএইচও মুনীর খান হাসপাতালে পৌঁছন। তিনি গিয়ে বিক্ষোভের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। যাঁরা এই ঘটনায় জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।