নয়া দিল্লি: কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণের আর মাত্র দুই দিন বাকি। ১৭ অক্টোবর দেশের প্রতিটি রাজ্যের রাজধানীতে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টে পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হবে। নিয়ম অনুযায়ী যে নেতা যে রাজ্যের বাসিন্দা, তাঁর সেই রাজ্যেই ভোট দেওয়ার কথা। এর জন্য সমস্ত রাজ্যগুলি জুড়ে মোট ৬৭টি ভোটদান কেন্দ্র বা বুথ তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু একই সময়ে চলছে সাম্প্রতিককালে কংগ্রেসের সবথেকে বড় কর্মসূচি ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’। প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে কংগ্রেসের বহু নেতাই এখন এই যাত্রা কর্মসূচিতে ব্যস্ত। তাহলে তাঁরা কী করে ভোট দেবেন? সভাপতি নির্বাচনে কি তাদের কোনও মত থাকবে না?
দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কর্তৃপক্ষের সভাপতি মধুসূদন মিস্ত্রি জানিয়েছেন, রাজ্যগুলিতে মোট ৬৭টি বুথের পাশাপাশি, নয়া দিল্লিতে সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটি বা এআইসিসি সদর দফতরেও একটি বুথ থাকবে। দলের সমস্ত শীর্ষস্থানীয় নেতা, কার্যকরী কমিটির সদস্যরা এই বুথে নিজেদের মতদান করবেন। এছাড়া, যেসব নেতাদের পরিচয়পত্র বিভিন্ন রাজ্যের হলেও কাজের সূত্রে দিল্লিতে বসবাস করছেন, যদি তারা দিল্লিতে ভোট দিতে চান, তারাও এআইসিসি সদর দফতরে এসে ভোট দিতে পারবেন। আর ভারত জোড়া যাত্রায় অংশ নেওয়া নেতারাও যাতে সভাপতি নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন, তার জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রাহুল গান্ধী এবং ভারত জোড়ো যাত্রার সঙ্গে যুক্ত নেতাদের জন্য একটি ক্যাম্প বুথ তৈরি করা হবে। নির্বাচনের দিন ভারত জোড়ো যাত্রা যেখানে থাকবে, সেখানেই এই ক্যাম্প বুথ স্থাপন করা হবে। সেখানেই, যাত্রায় জড়িত সমস্ত নেতারা কংগ্রেস সভাপতি পদের নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। নির্বাচন হবে গোপন ব্যালটে। ভোট গ্রহণের পর, সমস্তবুথ থেকে ব্যালট বাক্স আনা হবে এআইসিসি-র সদর দফতরে। তারপর ১৯ অক্টোবর ভোট গণনা করা হবে। গণনা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
মনোনয়নপত্র যাচাইয়ের পর, দলীয় সভাপতি পদে দুই জন প্রার্থী চূড়ান্ত হয়েছেন – শশী থারুর এবং মল্লিকার্জুন খাড়্গে। এখন রাজ্যে রাজ্যে তাঁরা নিজেদের হয়ে প্রচার চালাচ্ছেন। তবে প্রচার পর্বে তাঁর সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন শশী থারুর। তাঁর অভিযোগ, দলের অনেক নেতা প্রকাশ্যেই মল্লিকার্জুন খাড়্গের প্রতি তাঁদের সমর্থনের কথা ঘোষণা করছেন। অনেক রাজ্যেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিরা তাঁর সঙ্গে বৈঠক পর্যন্ত করতে চাইছেন না, অথচ, খাড়্গেকে দুহাত খুলে স্বাগত জানাচ্ছেন। কংগ্রেস দলের পক্ষে অবশ্য বারবারই দলের কোনও ‘সরকারি প্রার্থী’ থাকার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।