Shinkun La Tunnel: মোদীর হাতেই প্রথম বিস্ফোরণ, তৈরি হচ্ছে ‘শিনকু লা’, সাবধান চিন

Jul 26, 2024 | 1:48 PM

Shinkun La Tunnel: শ্রীনগর থেকে জোজিলা পাস দিয়ে কার্গিল হয়ে লেহ-তে আসা যায়। আবার হিমাচল প্রদেশের মানালি থেকে অটল টানেল হয়ে সারচু হয়ে লেহ–তে আসা যায়। তবে, এই দুই পথই শীতের সময় বরফে আটকে যায়। ফল, লেহ উপত্যকায় যাওয়া যায় না। তবে, নতুন টানেলটি তৈরি হয়ে গেলে যোগাযোগের এই সমস্যা দূর করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Shinkun La Tunnel: মোদীর হাতেই প্রথম বিস্ফোরণ, তৈরি হচ্ছে শিনকু লা, সাবধান চিন
ভার্চুয়াল মাধ্যমে শিনকু লা টানেল প্রকল্পের প্রথম বিস্ফোরণ ঘটালেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
Image Credit source: PTI

Follow Us

লাদাখ: শুক্রবার (২৬ জুলাই), কার্গিল বিজয় দিবসের ২৫ বছর পূর্তিতে লাদাখের কার্গিল যুদ্ধের স্মৃতিসৌধে, ভারতীয় সৈনিকদের আত্মত্যাগকে সম্মান জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। স্মৃতিসৌধে শহিদ ও বীর সেনানিদের উদ্দেশে পূষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি। এই একই দিনে, লাদাখের সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তাকে জোরদার করতে আরও এক উচ্চাকাঙ্খী প্রকল্পেরও সূচনা করলেন তিনি। ভার্চুয়াল মাধ্যমে তিনি শিনকু লা টানেল প্রকল্পের প্রথম বিস্ফোরণ ঘটান। এই সূড়ঙ্গ, দুর্গম লেহ উপত্যকার যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিপ্লব আনবে বলে মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে, লেহ যাওয়ার দুটি রাস্তা আছে। শ্রীনগর থেকে জোজিলা পাস দিয়ে কার্গিল হয়ে লেহ-তে আসা যায়। আবার হিমাচল প্রদেশের মানালি থেকে অটল টানেল হয়ে সারচু হয়ে লেহ–তে আসা যায়। তবে, এই দুই পথই শীতের সময় বরফে আটকে যায়। ফল, লেহ উপত্যকায় যাওয়া যায় না। তবে, নতুন টানেলটি তৈরি হয়ে গেলে যোগাযোগের এই সমস্যা দূর করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

নিমু-পদাম-দারচা সড়কে, প্রায় ১৫,৮০০ ফুট উচ্চতায় এই ৪.১ কিলোমিটার লম্বা সূড়ঙ্গটি তৈরি করা হচ্ছে। এটি একটি টুইন-টিউব টানেল প্রকল্প। টানেলটি হিমাচল প্রদেশের লাহৌল উপত্যকাকে, লাদাখের জান্সকার উপত্যকার সঙ্গে সংযুক্ত করবে। সবরকম আবহাওয়াতেই যাতে সড়কপথে লেহ উপত্যকায় পৌঁছন যায়, তা নিশ্চিত করাটাই এই প্রকল্পের লক্ষ্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, এই প্রকল্প লেহ উপত্যকার মানুষের জীবনে বড় প্রভাব ফেলবে।

শিনকু লা টানেল তৈরি হয়ে গেলে, সারা বছরই হিমাচল প্রদেশের লাহৌল উপত্যকা থেকে লাদাখের জান্সকার উপত্যকায় পৌঁছে যাওয়া যাবে। বর্তমানে ভারী তুষারপাতের কারণে, বছরের চার-পাঁচ মাস বাকি দেশের থেকে এক প্রকার বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় জান্সকার উপত্যকা। চিন-পাকিস্তানের বাড়তে থাকা হুমকির মধ্যে, সীমান্তবর্তী এই এলাকাকে এত দীর্ঘদিন বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রাখা যায় না। এছাড়া সূড়ঙ্গটি যাত্রাপথ এবং যাত্রাপথের সময়ও অনেকটা কমিয়ে দেবে। প্রকল্পটি এই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক পটভূমিও বদলে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। যার ফলে উপকৃত হবেন স্থানীয় মানুষ।

টানেল নির্মাণের ফলে এই এলাকায় সশস্ত্র বাহিনীর যাতায়াত অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। লাদাখের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে পৌঁছে যাবে বাহিনী। একই সঙ্গে, পরিবহন ব্যবস্থার উন্নতির ফলে, পণ্য ও পরিষেবাও পৌঁছে যাবে এই সব এলাকায়। এটা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে তরান্বিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। শুধু পণ্য ও পরিষেবা পৌঁছে যাওয়াই নয়, এই টানেলের ফলে পর্যটন এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া, সুড়ঙ্গটিতে সুপারভাইজরি কন্ট্রোল অ্যান্ড ডেটা অ্যাকুইজিশন, যন্ত্রচালিত বায়ুচলাচল ব্যবস্থা, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থার মতো উন্নত ব্যবস্থাও থাকবে। লেহ-র মতো উচ্চত পাহাড়ি এলাকায় নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যবস্থাগুলি অপরিহার্য।

প্রকল্পটির জন্য ১,৬৮১ কোটি টাকা ব্যয় ধার্য করা হয়েছে। টানেল প্রকল্পটির তত্ত্বাবধানে রয়েছে বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন বা বিআরও। বিআরও-র প্রাক্তন ডিরেক্টর লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব চৌধরী জানিয়েছেন, এই টানেল তৈরি হয়ে গেলে সেনাবাহিনীকে হিমাচল প্রদেশ থেকে সরাসরি লাদাখে পৌঁছে যাবে। শুধু তাই নয়, এর ফলে সারা বছর ধরে বাহিনীর কৌশলগত প্রস্তুতি নিতে পারবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, উত্তর সীমান্তে ভারতের পরিকাঠামো এবং কৌশলগত সক্ষমতা বৃদ্ধির দিকে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এই প্রকল্প। ফলে জাতীয় সুরক্ষা জোরদার হবে।

Next Article