Darjeeling Tea:দার্জিলিং চা ও হাওড়ার হ্যান্ডিক্র্যাফ্টের গয়নার বৈদেশিক চাহিদা বাড়াতে বিশেষ উদ্যোগ কেন্দ্রের
Export plan: ২০১৯ সালে স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতিটি জেলার বিশেষ সামগ্রীগুলি প্রথমে গোটা দেশের কাছে তুলে ধরতে এবং পরবর্তীতে বিদেশে রফতানির বিষয়ে পরিকল্পনা নিতে হবে জোর দিয়েছিলেন।
নয়া দিল্লি: প্রতিটি রাজ্যেই স্থানীয় এলাকার উৎপন্ন দ্রব্যের প্রচার করতে এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফাটাতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। ইতিমধ্যে দেশজুড়ে বিভিন্ন রেলস্টেশনে ‘এক দেশ এক পণ্য’ দোকান করে হ্যান্ডিক্র্যাফ্ট-সহ স্থানীয় দ্রব্যের বিক্রির উপর জোর দিয়েছে কেন্দ্র। কেবল দেশের মধ্যে নয়, স্থানীয় দ্রব্যের বাজার বাড়াতে সেগুলি রফতানি করারও পরিকল্পনা করছে, আর কেন্দ্রের এই পরিকল্পনায় উঠে এসেছে পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) দুটি জেলার নাম।
বাণিজ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলার চা এবং হাওড়া জেলার হ্যান্ডিক্যাফ্টের গয়না সামগ্রী বিদেশে রফতানি করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এব্যাপারে বৈদেশিক বাণিজ্যের ডিরেক্টর জেনারেল সন্তোষ কুমার সারেঙ্গি বলেন, “ভারতের মোট ৭৬০টি জেলার জন্যই একটি ডিস্ট্রিক্ট এক্সপোর্ট প্ল্যান তৈরি করা আমাদের লক্ষ্য। প্রতিটি জেলায় উৎপন্ন সেরা পণ্যগুলি রফতানির জন্য একটা তালিকা করব। আপাতত ৭৫টি জেলাকে নিয়ে একটি তালিকা তৈরি হয়েছে এবং সেই তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের দুটি জেলা উঠে এসেছে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নের লক্ষ্য বরাবরই তৎপর নরেন্দ্র মোদীর সরকার। উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন দ্রব্য বিদেশে রফতানির বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যে আলোচনা চলছে। এই নিয়ে ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্স (ICC)-এ আলোচনা চলছে। এরকম এক আলোচনাসভার পর পশ্চিমবঙ্গের দুই জেলার বিশেষ দ্রব্য বিদেশে রফতানির সিদ্ধান্তের কথা জানান সন্তোষ কুমার সারেঙ্গি। তাঁর কথায়, “দেশের যে ৭৫টি শীর্ষ জেলা নিয়ে আমরা উদ্যোগ গ্রহণের পরিকল্পনা নিয়েছি, তার মধ্যে হাওড়া ও দার্জিলিংকে লক্ষ্য করা হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতিটি জেলার বিশেষ সামগ্রীগুলি প্রথমে গোটা দেশের কাছে তুলে ধরতে এবং পরবর্তীতে বিদেশে রফতানির বিষয়ে পরিকল্পনা নিতে হবে জোর দিয়েছিলেন। তারপর বৈদেশিক বাণিজের ডিরেক্টরেট জেনারেলের অধীনে ”ডিস্ট্রিক্টস অ্যাজ এক্সপোর্ট হাবস গড়ে তোলা হয়। মূলত, প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সমস্ত জেলার উৎপাদিত বিশেষ পণ্যসামগ্রী খুঁজে বের করে রফতানির ব্যবস্থা করা এই সংস্থার প্রধান কাজ।