চণ্ডীগঢ়: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পা রাখার ঠিক আগেই উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক! আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি রাজস্থানের দৌসা জেলায় যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর। তার আগে স্বাভাবিকভাবেই নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করা হচ্ছে। বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। তাতেই, বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজস্থানের দৌসা জেলার খান ভাঙ্কারি রোডের কাছে ধরা পড়ল এই বিস্ফোরকের পাহাড়। এখনও পর্যন্ত, এক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, ওই গাড়িটি থেকে পুলিশ প্রায় ১০০০ কেজি বিস্ফোরক, ৬৫টি ডেটোনেটর, এবং ৩৬০টি জিলেটিন স্টিক উদ্ধার করেছে। জিলেটিন স্টিকগুলির একেকটির ওজন প্রায় ২.৭৮ কেজি। ৪০টি বাক্সে ভরে এই বিস্ফোরণের সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ধৃত ব্যক্তির নাম রাজেশ মীনা। সে দৌসা জেলার ব্যাস এলাকার বাসিন্দা। যে গাড়িতে বিস্ফোরক বহন করা হচ্ছিল সেটিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নির্ধারিত সফরকে সামনে রেখে, পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় নজর রাখছিল। এরই মধ্যে এক গোপন সূত্রে খবর পাওয়া যায়, একটি ট্রাকে করে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, সেই গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতেই গাড়িটিকে আটক করা হয়েছিল। রাজেশ মীনার কাছে বিস্ফোরক পরিবহনের লাইসেন্স পারমিট চাওয়া হয়। সেগুলো সে কোথা থেকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে, কী উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছে, সেই সম্পর্কেও জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। সে সন্তোষজনক কোনও কারণ জানাতে পারেনি। এরপরই তাকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং বিস্ফোরক আইনের প্রাসঙ্গিক ধারায় মামলা করা হয়েছে। কোথা থেকে এত বিস্ফোরক এবং অন্যান্য সরঞ্জাম এল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই ঘটনার পিছনে কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীর হাত আছে কি না, সেই বিষয়েও অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, আরও তদন্তের আগে এই বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দিল্লি-মুম্বই এক্সপ্রেসওয়ের দৌসা থেকে সোহনা পর্যন্ত অংশের উদ্বোধন করতে, আগামী রবিবার দৌসা জেলায় আসার কথা প্রধানমন্ত্রী মোদীর। নির্মাণ সম্পূর্ণ হলে, ১,৩৮৬ কিলোমিটার দীর্ঘ দিল্লি-মুম্বই এক্সপ্রেসওয়েই হবে ভারতের দীর্ঘতম এক্সপ্রেসওয়ে। শুধু তাই নয়, সড়কপথে দিল্লি থেকে মুম্বই যাওয়ার সময় ১২ ঘন্টা কমে যাবে। এটি নির্মাণে খরচ হচ্ছে ১ লক্ষ কোটি টাকা।