AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

BJP MP Controversial Comment: বিজেপি সাংসদের সাম্প্রদায়িক মন্তব্য ঘিরে তীব্র বিতর্ক, ক্ষমা চাইলেন রাজনাথ সিং

Parliament Controversy: বিরোধী দলগুলির তরফে দাবি করা হয়, এই ক্ষমা চাওয়া যথেষ্ট নয়, বিজেপি সাংসদ রমেশ বিধুরিকে সাসপেন্ড বা গ্রেফতার করতে হবে। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, "অত্যন্ত লজ্জাজনক বিষয়। রাজনাথ সিং সম্পূর্ণ হৃদয় থেকে ক্ষমা চাননি। তাঁর এই ক্ষমা প্রার্থনা গ্রহণ করা হচ্ছে না। এটা সংসদের অপমান।"

BJP MP Controversial Comment: বিজেপি সাংসদের সাম্প্রদায়িক মন্তব্য ঘিরে তীব্র বিতর্ক, ক্ষমা চাইলেন রাজনাথ সিং
লোকসভায় বিতর্কিত মন্তব্য করেন বিজেপি সাংসদ রমেশ বিধুরি।Image Credit: Sansad TV
| Edited By: | Updated on: Sep 22, 2023 | 5:08 PM
Share

নয়া দিল্লি: বিতর্কিত সাম্প্রদায়িক মন্তব্য বিজেপি সাংসদের (BJP MP)। তা নিয়েই তোলপাড় সংসদ। বিজেপি সাংসদ রমেশ বিধুরিকে সতর্ক করলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা (Om Birla)। তাঁর ওই বিতর্কিত মন্তব্য বাদ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, বিজেপি সাংসদের এই মন্তব্যে দুঃখ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। বিজেপ্র তরফে ওই সাংসদের কাছে বিতর্কিত মন্তব্যের ব্যাখ্য়াও জানতে চাওয়া হয়েছে। তাঁকে শো-কজ নোটিস দেওয়া হয়েছে।

সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন লোকসভায় চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্য নিয়ে আলোচনার সময় বিএসপির মুসলিম সাংসদ দানিশ আলিকে নিয়ে সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক মন্তব্য করেন বিজেপি সাংসদ রমেশ বিধুরি। একাধিকবার তিনি ধর্মীয় অবমাননাকর মন্তব্য করেন। এরপরই তাঁকে সতর্ক করেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। বিজেপি সাংসদকে সতর্ক করে তিনি বলেন, “যদি এই ধরনের আচরণ করেন, তবে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

বিএসপি সাংসদ দানিশ আলি স্পিকার ওম বিড়লাকে বলেন, “নতুন সংসদ ভবনে আপনার নেতৃত্বে থাকাকালীন এমন ঘটনা ঘটছে, তা আমার কাছে এই দেশের সংখ্যালঘু নাগরিক ও সাংসদ হিসাবে অত্যন্ত হৃদয়বিদারক।”

অন্যান্য বিরোধী দলগুলির তরফেও বিজেপি সাংসদের সাম্প্রদায়িক মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করা হয়। এরপরই কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বিজেপি সাংসদের ওই মন্তব্য়ের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “সাংসদের ওই মন্তব্যের জন্য আমি দুঃখিত।”

যদিও বিরোধী দলগুলির তরফে দাবি করা হয়, এই ক্ষমা চাওয়া যথেষ্ট নয়, বিজেপি সাংসদ রমেশ বিধুরিকে সাসপেন্ড বা গ্রেফতার করতে হবে। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, “অত্যন্ত লজ্জাজনক বিষয়। রাজনাথ সিং সম্পূর্ণ হৃদয় থেকে ক্ষমা চাননি। তাঁর এই ক্ষমা প্রার্থনা গ্রহণ করা হচ্ছে না। এটা সংসদের অপমান। রমেশ বিধুরির এই মন্তব্য সমস্ত ভারতীয়দের কাছে অপমান। ওঁকে সাসপেন্ড করা এবং ওঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।”

গত অধিবেশনে অধীর চৌধুরীকে সাসপেন্ড করার প্রসঙ্গ টেনেও কংগ্রেসের তরফে বলা হয়, “মন্ত্রীদের অপমান করার অভিযোগ এনে লোকসভার সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। কিন্তু বিজেপি সাংসদ তার থেকেও খারাপ কথা বললেও, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না।”

এদিকে, বিজেপি সাংসদ যখন ওই বিতর্কিত মন্তব্য করছিলেন, সেই সময় মুচকি হাসি হাসতে দেখা যায় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হর্ষ বর্ধনকে। তাঁকে ঘিরে নতুন করে বিতর্ক শুরু হলে, তিনি সাফাই দিয়ে বলেন, “আমায় বিনা কারণে এই বিতর্কে টানা হচ্ছে। যখন দুই সাংসদ একে অপরের প্রতি শব্দের মারপ্য়াঁচ প্রয়োগ করছিলেন, তার সাক্ষী আমি ছিলাম অবশ্যই, কিন্তু হই-হট্টগোলের কারণে কী বলা হচ্ছিল, তা আমি স্পষ্টভাবে শুনতে পাইনি।”