সিমলা: ভরা বর্ষায় পের পাহাড়ে বিপত্তি। এবার ভেঙে পড়ল উড়ালপুল। বৃহস্পতিবার হিমাচল প্রদেশের সোলানে একটি উড়ালপুলের বড় একটি অংশ ভেঙে পড়ে। সেই সময়ই উড়ালপুলের নীচ দিয়ে দুটি গাড়ি যাচ্ছিল। গাড়িগুলির উপরে সিমেন্টের চাঁই খসে পড়ে। তবে এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর মেলেনি এখনও অবধি। বিগত কয়েকদিন ধরেই ভারী বৃষ্টি হচ্ছে হিমাচল প্রদেশে। তার উপরে বেশ কয়েক জায়গায় মেঘ ভাঙা বৃষ্টি শুরু হওয়ায় আরও বিপদ বেড়েছে। লাগাতার বৃষ্টির জেরে একাধিক জায়গায় ভূমিধস নেমেছে বলেও জানা গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিগত কয়েকদিন ধরে হিমাচল প্রদেশে প্রবল বৃষ্টির জেরেই সোলানের ফ্লাইওভার বা উড়ালপুলে বিপত্তি ঘটে। আচমকাই একটি বিশাল অংশ ধসে পড়ে। উড়ালপুলের ওই বড় অংশটি ভেঙে পড়ার সময় নীচ থেকে যাওয়া দুটি গাড়ি ধাক্কা খায়। ইতিমধ্যেই একটি ভিডিয়ো সামনে এসেছে, তাতেও দেখা যাচ্ছে আচমকাই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ছে উড়ালপুলটি। সেই সময়ই নীচ থেকে যাওয়া দুটি গাড়ির উপরও সিমেন্টের চাঁই ভেঙে পড়ে।
জানা গিয়েছে, ওই উড়ালপুলটি ৫ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে অবস্থিত চার লেনের কালকা-সিমলা সুড়ঙ্গের সঙ্গে যুক্ত হয়। পর্যটকদের ভিড়ে সর্বদাই উড়ালপুল ও রাস্তায় যানজট লেগে থাকে। তবে হঠাৎ উড়ালপুলটি ভেঙে পড়ায় আপাতত ওই সুড়ঙ্গ বন্ধ রাখা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর বলেন, “গতকাল রাত থেকেই হিমাচলে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। সমস্ত ডেপুটি কমিশনারদেরই সতর্ক করা হয়েছে এবং যাবতীয় ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কুলু ও মান্ডিতে বেশ কিছু বাড়িঘরে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গিয়েছে।”
বৃহস্পতিবার কুলুতেও একটি দুর্ঘটনা ঘটে। আন্নি সাবডিভিশনের অধীনে খাদেল এলাকায় আচমকাই ভূমিধস নামে সকাল ৯টা নাগাদ। ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় চাবেলু দেবী (৫৫) ও কৃতীকা (১৭) নামক দুই স্থানীয় বাসিন্দার। ওই অঞ্চলেরই দেউঠি গ্রামেও মেঘভাঙা বৃষ্টিও হড়পা বানের জেরে জলের স্রোতে ১০টি দোকান ও তিনটি গাড়ি ভেসে চলে যায়। গ্রাম পঞ্চায়েতের বিল্ডিং ও পুরনো একটি বাসস্ট্যান্ডও যেকোনও মুহূর্তেই ভেঙে পড়তে পারে বলে জানিয়েছেন বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিকরা।
লাগাতার বৃষ্টির জেরে কুলু থেকে মান্ডি যাওয়ার পথে জাতীয় সড়কও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পান্ডো এলাকায় বৃহস্পতিবার সকালেই ধস নামে। বাধ্য হয়ে গাড়ি অন্য রুটে ঘুরিয়ে দিতে হয়। চাম্বাতেও হড়পা বান নেমেছে বলে জানা গিয়েছে।