Champai Soren: বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন চম্পাই সোরেন?

Aug 17, 2024 | 9:30 PM

Champai Soren: শনিবারই চম্পাই সোরেন বলেন, "আমি জানি না কী গুঞ্জন চলছে। কোন খবর চলছে তাও জানি না। তাই কোনটা সত্যি কোনটা মিথ্যা তাও আমি বলতে পারব না। তবে আমি যেখানে আছি, আমি সেখানেই আছি।" এমনকী অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাও দাবি করেন, জেএমএম-এর কেউ গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগে নেই।

Champai Soren: বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন চম্পাই সোরেন?
চম্পাই সোরেন।
Image Credit source: Facebook

Follow Us

ঝাড়খণ্ড: চম্পাই সোরেনের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা যখন তুঙ্গে, নিজেই জানালেন কী করতে চলেছেন তিনি। সামনেই ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা ভোট। সেই আবহে হেমন্ত সোরেনের সঙ্গ ছেড়ে চম্পাই শিবির বদলাতে পারেন বলেই রটেছে। বিতর্কের মুখে অত্যন্ত কৌশলী জবাব ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। ইডির হাতে ৩১ জানুয়ারি গ্রেফতার হওয়ার আগের সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা বা জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেন। এর পরপরই চম্পাই সোরেনকে বসানো হয় ঝাড়খণ্ডের মসনদে। তবে পাঁচ মাস পর হেমন্ত জামিনে ছাড়া পেতেই চম্পাই সোরেনকে এক প্রকার বাধ্যই করা হয় মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে। আবারও হেমন্ত বসেন মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে।

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)

হেমন্ত যেমন পাঁচ মাসের মাথায় নিজের কুর্সি ফেরত পান, একইভাবে পাঁচ মাসের মধ্য়েই আসন ছাড়তে হয় চম্পাইকে। এরপরই জল্পনা ছড়ায়, বিষয়টি একেবারেই ভালভাবে নেননি তিনি। এরপরই নানা মহলে চর্চা শুরু হয়, বর্ষীয়ান জেএমএম নেতা চম্পাই সোরেন কি বিজেপির হাত ধরছেন? বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেও এই খবর প্রকাশিত হয়।

তবে শনিবারই চম্পাই সোরেন বলেন, “আমি জানি না কী গুঞ্জন চলছে। কোন খবর চলছে তাও জানি না। তাই কোনটা সত্যি কোনটা মিথ্যা তাও আমি বলতে পারব না। তবে আমি যেখানে আছি, আমি সেখানেই আছি।” এমনকী অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাও দাবি করেন, জেএমএম-এর কেউ গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগে নেই।

ন’য়ের দশকে রাজনীতিতে পা রাখেন চম্পাই সোরেন। বাবা ছিলেন কৃষক। তাঁর সঙ্গেই কৃষিকাজে হাত লাগাতেন চম্পাইও। ঝাড়খণ্ডে আন্দোলনের মুখ হয়ে ওঠেন তিনি। সেখানকার মানুষের কাছে ‘টাইগার’ নামে পরিচিত চম্পাই সোরেন। প্রথমে নির্দল হিসাবে বিধায়ক হন সরাইকেলার। একাধিকবার মন্ত্রীও হন। তবে হেমন্ত সোরেন ফেরার পর তাঁকে পদত্যাগ করতে বলায় অপমানিত বোধ করেন বলেই সূত্র মারফত খবর ছড়ায়। আর এরপরই দলবদলের জল্পনা জোরাল হয়।

Next Article