নয়া দিল্লি: ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’-র প্রস্তাব খতিয়ে দেখতে ৮ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্র। সেখানে অমিত শাহর সঙ্গে রয়েছেন কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী। কেন্দ্রের এই কমিটির সদস্যদের নাম প্রকাশ্যে আসার পরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখলেন অধীর চৌধুরী। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, এই কমিটিতে তিনি থাকতে পারবেন না। একইসঙ্গে ওই কমিটিতে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতাকে না রাখা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।
অমিত শাহকে চিঠিতে অধীর চৌধুরী লিখেছেন, “সংবাদমাধ্যম এবং গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্য়মে আমি জানতে পেরেছি যে, এক দেশ এক নির্বাচন কমিটিতে আমাকে রাখা হয়েছে।” লোকসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে কেন্দ্রের এই উদ্যোগের কারণ যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলে তিনি মনে করেন। কমিটি গঠনের বিষয়টিও আইওয়াশ বলে চিঠিতে লেখেন তিনি। এই মুহূর্তে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে। কিন্তু, এই কমিটিতে তিনি নেই। সেই বিষয়টি উল্লেখ করে অধীর লেখেন, গণতান্ত্রিক কাঠামোকে অপমান করা হয়েছে। এই সব বিষয় উল্লেখ করে অধীর জানিয়ে দেন, এই কমিটিতে তাঁর পক্ষে থাকা সম্ভব নয়।
ওই কমিটিতে মল্লিকার্জুন খাড়্গের না-থাকা নিয়ে সরব হয়েছেন কংগ্রেস নেতা কে সি বেণুগোপালও। তিনি বলেন, রাজ্যসভার একজন প্রাক্তন বিরোধী দলনেতাকে কমিটিতে রাখা হয়েছে। অথচ রাজ্যসভার বর্তমান বিরোধী দলনেতাকে কমিটিতে রাখা হয়নি। খাড়্গে কমিটিতে না রাখার কারণ কী জানতে চান তিনি।
প্রসঙ্গত, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের ওই কমিটি গঠন করা হয়েছে। অমিত শাহ ও অধীর চৌধুরী ছাড়াও কমিটিতে রয়েছেন রাজ্যসভার প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদ। ১৫তম অর্থ কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান এনকে সিং, লোকসভার প্রাক্তন সেক্রেটারি জেনারেল ড. সুভাষ সি কশ্যপ, বিশিষ্ট আইনজীবী হরিশ সালভে এবং প্রাক্তন মুখ্য ভিজিল্যান্স কমিশনার সঞ্জয় কোঠারি এই কমিটির বাকি পাঁচ সদস্য। কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক জানিয়েছে, ৮ সদস্যের এই কমিটি ভারতের সংবিধান ও অন্যান্য বিধিবদ্ধ বিধানের অধীনে লোকসভা, বিধানসভা, পৌরসভা এবং পঞ্চায়েত স্তরে একযোগে নির্বাচন করার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখবে এবং প্রয়োজনীয় সুপারিশ করবে।